ইউএস কোস্ট গার্ডের অ্যাডমিরাল শ্যানন গিলরথ বলেন, “আমরা তল্লাশি চালাচ্ছি, কিন্তু জল যা ঠান্ডা… তাতে মনে হয় না কাউকে জীবিত খুঁজে পাব”। মেরিল্যান্ড স্টেট পুলিশের সেক্রেটারি রোল্যান্ড বাটলার বলছেন, “তাপমাত্রা এবং স্রোতের কারণে জলের নিচে ডুবুরিদের তল্লাশি অভিযান কঠিন করে তুলেছে। তবে রাতভর টহলদারি চলবে”।
কন্টেনার জাহাজের ২২ জন ক্রু মেম্বার ছিলেন। প্রত্যেকেই ভারতীয়। জাহাজ পরিচালনা সংস্থা জানিয়েছে, তাঁরা সবাই নিরাপদে আছেন। মেরিল্যান্ডের গভর্নর ভারতীয় ক্রু-দের ‘হিরো’ বলে সম্বোধন করেছেন। সংঘর্ষের আগে তাঁরা দ্রুত সতর্ক বার্তা দেওয়ায় জন্যই “অনেক জীবন রক্ষা পেয়েছে” বলে জানিয়েছেন তিনি। ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাস ‘দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনার’ জন্য শোকপ্রকাশ করেছে। সেতু ভেঙে জখম ভারতীয় নাগরিকদের জন্য চালু করা হয়েছে হটলাইন।
advertisement
সাংবাদিক সম্মেলনে মেরিল্যান্ডের গভর্নর বলেন, “বিপদের গন্ধ পেয়েই মেডে কল করেছিল ভারতীয় ক্রু মেম্বাররা। সঙ্গে সঙ্গে সেতুতে যাববাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওঁরা হিরো। গতরাতে অনেক জীবন বাঁচিয়েছে”। এফবিআই এবং অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, এটা নিছকই দুর্ঘটনা। এর সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের কোনও যোগ নেই।
একটা ধাক্কায় কেন এভাবে ভেঙে পড়ল গোটা সেতু? এই প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর জানিয়েছেন, আপাতদৃষ্টিতে সেতুতে কোনও ত্রুটি ছিল না বলেই জানা গিয়েছে। তবে সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মেরিল্যান্ডের পরিবহণ প্রধান পল উইডেফেল্ড বলেন, “সেতুতে নির্মাণ শ্রমিকরা গর্ত মেরামত করছিল। ফলে কোনও কাঠামোগত ত্রুটি যে নেই, সেটা স্পষ্ট”।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করে বিপাকে দিলীপ, কমিশনে নালিশ জানাল তৃণমূল!
এই ঘটনাকে ‘ভয়াবহ দুর্ঘটনা’ বলে অভিহিত করেছেন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন। তিনি সেতু পুনর্নিমাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিদেশ মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, নিখোঁজ শ্রমিকদের মধ্যে ২ জন গুয়াতেমালার বাসিন্দা।