উত্তর-পূর্ব পার্থের মর্লে'তে জেবি মিলিটারি আ্যান্টিক ( JB Military Antique) নামে ওই অকশন হাউজের বিরুদ্ধে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। হিটলারের ব্যবহৃত মোট আটটি জিনিস নিলামে তোলে ওই অকশন হাউজ। এই আটটি জিনিসের মধ্যে রয়েছে তাঁর ব্যবহৃত জুতো পালিশের বুরুশ, শৌখিন সিগারকেস, চুল আঁচড়ানোর চিরুনি, সাদা রঙের ধাতব আয়না, ঝোল বা স্যুপ রাখার পাত্র, ইস্ত্রি, টেবিল সাজানোর বাসনপত্র ও ইভা ব্রাউনের (Eva Braun) ব্যবহৃত একটি কাঁটাচামচ। অকশন হাউজে প্রত্যেকটি জিনিস পাঁচশোজন স্মরণীয় মানুষের ব্যবহার্য জিনিসের তালিকায় ছিল। বলাই বাহুল্য, এই প্রতিটি জিনিসই বেশ চড়া দামে বিক্রয় করা হয়। সিগারকেসের দাম ওঠে ২৯০০০ মার্কিন ডলার। মাথার চিরুনির দাম ওঠে ১৯০০০ মার্কিন ডলার। ধাতব আয়না বিক্রয় হয় ১৫০০০ মার্কিন ডলারে। হিটলারের টেবিল সাজানোর সমস্ত আসবাবপত্রের মোট দাম ওঠে ২৫০০০ মার্কিন ডলার। প্রত্যেকটি জিনিসের গায়েই 'আ্যাডলফ হিটলার-এর নামের আদ্যক্ষর 'AH' লেখা ছিল।
advertisement
এপ্রিল মাসের আগামী ২৫ তারিখ সমগ্র অস্ট্রেলিয়া জুড়ে পালিত হবে 'আনজাক দিবস' ( Anzac Day)। তার আগে হওয়া এই নিলাম তাই স্বাভাবিক ভাবেই বিতর্কের পাদপ্রদীপে উঠে এসেছে। নাৎজি সুপ্রিমোর জিনিসপত্রের খোলাখুলি নিলাম অনেকেই ভালো চোখে নেননি। কেউ কেউ একধাপ এগিয়ে গিয়ে বলেছেন, এই নিলাম আসলে হিটলারের ঘৃণ্যও শাসনতন্ত্রের উদযাপন। কেউ কেউ আবার বেশ ব্যঙ্গাত্মক স্বরে আক্রমণ করেছেন। ডভির আব্রাহমোভিচ (Dvir Abramovich), অস্ট্রেলিয়ার আ্যান্টি-ডিফেমেশন কমিটি ( Anti-Defamation Committee)-র চেয়ারপার্সন বলেছেন 'হিটলার আজ বেঁচে থাকলে জেবি মিলিটারি আ্যান্টিককে ধন্যবাদ জানাতেন। যে ভাবে ব্যবসার নাম করে তাঁর ব্যবহৃত জিনিসপত্র বিক্রয় করে তাঁর শাসনকালকে অস্ট্রেলিয়ার বুকে চাগাড় দেওয়া হচ্ছে, তার প্রশংসা না করে তিনি থাকতে পারতেন না।'
বহুমুখী আক্রমণের মুখে পড়ে কার্যত খানিক নিশ্চুপ হয়ে পড়েছে জেবি মিলিটারি আ্যান্টিক। ওই অকশন হাউজের তরফ থেকে জ্যামি ব্লেউইট (Jamey Blewitt) বলেন, স্রেফ ব্যবসায়িক চাহিদা থেকেই তাঁরা হিটলারের জিনিসপত্র বিক্রয় করেছিলেন। কোনও রকম রাজনৈতিক পরিকল্পনা বা অবস্থান থেকে নয়।