নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে শপথ গ্রহণের পর সংবাদ সম্মেলনে আন্তোনিও গুতেরেস (৭২) বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, আমাদের সামনে বড় একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, এই সমস্যাকে (করোনা মহামারি) বদলে দিয়ে এমন একটি বিশ্ব তৈরি করা, যা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা যেতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে কার্যকর আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বের সবুজ ও টেকসই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা এগিয়ে নিতে কাজ করবেন। ১৯৯৫ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন আন্তোনিও গুতেরেস।
advertisement
২০১৬ সালে পাঁচ বছরের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব মনোনীত হন তিনি। দায়িত্ব নেন পরের বছরের ১ জানুয়ারি। বান কি মুনের পর ২০১৭ সাল থেকে জাতিসংঘের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করে আসছেন অ্যান্তোনিও গুতেরেস। এছাড়া ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উল্লেখ্য, রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব পদের দৌড়ে নাম শোনা গিয়েছিল ভারতীয় বংশোদ্ভূত অরোরা আকাঙ্ক্ষা (Arora Akanksha )। ৩৪ বছরের অরোরা বর্তমানে রাষ্ট্রসংঘের ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রামের অডিট কো অর্ডিনেটর।
তবে আন্তোনিও গুতেরেসের চেয়ারের জন্য তাঁর লড়াই আপাতত শেষ। রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) ৭৫ বছরের ইতিহাসে মহাসচিবের পদে বসেননি কোনও মহিলা। সোশ্যালিস্ট ইন্টারন্যাশনালের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন গুতেরেজ। পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন প্যানডেমিক থেকে মুক্তি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দারিদ্র্য দূরীকরণের বিরুদ্ধে কাজে জোর দেবেন তিনি।