ইরানের দক্ষিণ অংশে ফারস এলাকায় তাঁর নিজের গ্রাম দেজগাহতে মৃত্যু হয় অকৃতদার আমৌয়ের৷ জানানো হয়েছে সংবাদ সংস্থার তরফে৷ আমৌয়ের আশঙ্কা ছিল স্নান করলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন৷ সেই আতঙ্ক থেকেই তিনি ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে স্নানই করেননি৷ তবে কিছু মাস আগেই অসাধ্যসাধন করেছিলেন আমৌয়ের গ্রামের বাসিন্দারা৷ তাঁরা বাথরুমে নিয়ে গিয়ে স্নান করিয়েছিলেন আমৌকে৷
advertisement
আরও পড়ুন : দেখা গেল বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ, ভারতে এর পরের পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ কবে, জানুন দিনক্ষণ
আমৌ ভালবাসতেন পাইপ টানতে। তবে সেখানে ভরা থাকত বিভিন্ন পশুর বর্জ্য পদার্থ। তামাকের বদলে তার ধোঁয়াতেই সুখটান পেতেন এই বৃদ্ধ। তবে স্নান না করলেও প্রচুর জলপান করতেন তিনি। একটা মরচে ধরা পাত্র থেকে সারাদিনে তিনি পাঁচ লিটার জলপান করতেন। চুলদাড়িও কাটতেন না তিনি। খুব বড় হয়ে গেলে নিতান্ত দরকার পড়লে চুল পুড়িয়ে ফেলতেন। তাঁর প্রিয় খাবার ছিল সজারুর পচা মাংস। ঠান্ডায় কষ্ট পেলে মাথায় পরে নিতেন পুরনো আমলের শিরস্ত্রাণ। বেশিরভাগ দিন মাটির নীচে গর্তে ঘুমোতেন আমৌ৷ অনেক সময় খোলা আকাশের নীচে সবুজ মাঠেও শুয়ে পড়তেন রাতে৷
তাঁকে নিয়ে একটি ছোট তথ্যচিত্রও তৈরি হয়েছে৷ ‘দ্য স্ট্রেঞ্জ লাইফ অব আমৌ হাজি’ নামে সেই তথ্যচিত্র মুক্তি পেয়েছিল ২০১৩ সালে৷