অনলাইনে স্কট সি. ওয়ারিং নামের এক বিজ্ঞানী ওই ছবিটি দেখে মন্তব্য করেন, তিনি মঙ্গলের ওই ‘পিরামিড’-এর একদিক মসৃণ এবং অন্য দুইদিক ক্ষয়ে যাওয়া বলে লক্ষ্য করেন। তাঁর মত, এই পিরামিড এলিয়েনরা তৈরি করেছে, এমন সম্ভাবনা মোটেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না! হয়তো এলিয়েনরা ওই জায়গায় বসতি তৈরির চেষ্টা করছিল। এমনকী তাঁর বিশ্বাস, এলিয়েনরাই হয়তো মিশরের পিরামিডগুলোও তৈরি করেছিল।
advertisement
তবে, মিশরের পিরামিড এলিয়েনদের তৈরি এহেন মন্তব্য করে হাসির পাত্রই হয়েছেন স্কট সি. ওয়ারিং! অনেকে মন্তব্য করেছেন-- রোমান কলোসিয়াম, সেইন্ট পিটার’স ব্যাসিলিকা, এমনকি এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং-- এগুলো এলিয়েনরা তৈরি করেছে, এমনটা বলা যেমন হাস্যকর, তেমনই পিরামিড এলিয়েনরা তৈরি করে গিয়েছে এটা মনে করাও ততোধিক হাস্যকর। তাছাড়া পিরামিড মানুষ কীভাবে তৈরি করেছিল সেটাও গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে বহুদিন আগেই। তাই পিরামিড মানেই এলিয়েন, এটা ভাবার কোনো অবকাশ নেই।''
মঙ্গলের ওই ছবির পিরামিড-এর মাপজোখ হিসেব করলে দেখা যায় ত্রিকোণ কাঠামোটি ৪০ বাই ৩০ মিটার। মিশরের গিজার সবচেয়ে ছোট পিরামিডটির চেয়েও ছোট। এছাড়া ওই পিরামিডটি একটি গভীর খাদের ভেতরে অবস্থিত। তাতে একসময় জল ছিল বলে বিশ্বাস করেন বিজ্ঞানী মহলের একাংশ। তাহলে কি এলিয়েনরা জলের নিচে এই পিরামিড তৈরি করেছিল ? না, এটি জলের স্রোত ও বাতাসের ধাক্কায় তৈরি একটি প্রাকৃতিক পাথুরে কাঠামো মাত্র ? উত্তর পেতে চলছে গবেষণা ।
আরও পড়ুন-আছড়ে পড়তে পারে আরও ভয়ঙ্কর একটি সুনামি, রেড অ্যালার্ট জারি ইন্দোনেশিয়ায়