নতুন শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, 'এখনকার দিনে পিএইচডি এবং মাস্টার্স ডিগ্রি মূল্যহীন। কারণ মোল্লা ও তালিবান নেতাদের কারও পিএইচডি, মাস্টার্স এমনকী হাইস্কুলের ডিগ্রিও নেই। কিন্তু তাঁরাই শ্রেষ্ঠ।' মুনিরের এমন মন্তব্যে বিশ্বজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফগানদের একাংশের আশঙ্কা, গত ২০ বছরে আফগানিস্তানে যে শিক্ষাব্যবস্থা চালু হয়েছিল, এই তালিবানি শাসনে তা ভেঙে পড়তে পারে। ইতিমধ্যেই কলেজে ছেলে-মেয়েদের মধ্যে পর্দা ফেলে তাঁদের ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। অনেক জায়গায় মেয়ে আর মহিলাদের জন্য শুধু মাত্র বয়স্ক বৃদ্ধা শিক্ষিকাকে নিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও তালিবান সেসব বেসরকারি কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগাম টানা শুরু করেছে যারা ২০০১ সালে তালিবানি শাসন শেষ হওয়ার পর আধুনিক শিক্ষা শুরু করেছিল।
advertisement
আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের দু'সপ্তাহ পর মঙ্গলবার অবশেষে নতুন সরকারের ঘোষণা করেছে তালিবানরা। ইরান মডেলে তৈরি মন্ত্রিসভার ৩৩ জন সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তালিব সরকারের শীর্ষ স্থানে থাকবেন হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা (Hibatullah Akhundzada)। নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন মহম্মদ হাসান আখুন্দ। আব্দুল গনি বরাদর হলেন তাঁর ডেপুটি।
একদিকে সরকার গঠনের পরই সুপ্রিম লিডার হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা জানিয়েছেন, নয়া আফগানিস্তান সরকার পরিচালিত হবে শরিয়া আইনেই। এই শরিয়া আইনেই মহিলাদের শিক্ষার অধিকার নেই। নয়া সরকারে শিক্ষা ব্যবস্থায় কোপ পড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হয়েছিল, এবার সেই আশঙ্কাই সত্যি করে নতুন শিক্ষামন্ত্রী শেখ মৌলবি নুরউল্লাহ মুনির জানিয়ে দিলেন পিএইডি বা মাস্টার্স ডিগ্রির কোনও মূল্য নেই।
আরও পড়ুন: সরকার গঠনের ঘোষণা তালিবানদের, নেতৃত্বে মহম্মদ হাসান আখুন্দ! পাক মদতেই কাটল জট?