১৯৭৬ সালের ২৯ জুলাই প্রথম খুন করেন ১৮ বছর বয়সী ডোনা লরিয়াকে৷ কোনওক্রমে পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন নিহতের বন্ধু৷ পরে তিনি হত্যাকরীকে সনাক্ত করতে পারেননি৷
আরও পড়ুন: কেবল দার্জিলিং-অসম নয়, ভারতে রয়েছে মোট পাঁচ রকম চা, তাদের নামগুলো কী বলুন তো?
তার ঠিক পরের বছর খুন হয়, আরও পাঁচজন৷ যে তরুণীর চুলের রঙ বাদামি, তাঁরাই খুন হন এই সিরিয়াল কিলারের হাতে৷ অদ্ভুতভাবে ডেভিড ভোরবেলাতে খুন করতে থাকে৷
advertisement
ইতিহাস ও তথ্য বলছে, প্রায় প্রত্যেকটা সিরিয়াল কিলারের একটা প্যাটার্ন থাকে৷ ডেভিডও ব্যতিক্রম ছিল না৷ চুলের রঙ দেখে খুন করত সে৷ হত্যা করার জন্য এক ধরনের বিশেষ পিস্তলও ব্যবহার করে৷ এই কারণেই তাঁর ডাকনাম হয়ে ওঠে ‘৪৪ ক্যালিবার কিলার’৷
আরও পড়ুন: ফল চাষ করে লাভ ৯৫ লাখ টাকা, জেনে নিন কোন ফল চাষ করে হতে পারেন লাখপতি?
শুধু তাই নয় সিলিয়াল কিলারের প্যাটার্ন মেনে সে অপরাধস্থলে পুলিশের জন্য নানারকম সূত্র রেখে দিতে থাকে৷ নিউ ইয়র্কের পুলিশকে রীতিমতো উপহাসের পাত্রে পরিণত করে তুলেছিল ডেভিড৷ হন্যে হয়ে খুঁজেও অপরাধীর টিকিও পেলেন না তাবৎ পুলিশেরা৷
১৯৭৭ সাল ১০ অগাস্ট, তাল কাটল একটা গাড়ির জন্য৷ ডেভিডের একটা হলুদ রঙের গাড়ি ছিল৷ সেই গাড়ি একবার ফাইন করেছিল৷ সেই সূত্র ধরেই পুলিশের জালে ধরা পড়ল ডেভিড৷
খুনের সময় এক প্রত্যোক্ষদর্শী ডেভিডের হলুদ গাড়িটিকে শনাক্ত করে৷ ট্র্যাফিক টিকিট দেখে পুলিশ জানতে পারে একটা হলুদ গাড়ির ফাইন হয়েছিল, দু’ইয়ে-দু’ইয়ে চার করতে অসুবিধা হয়নি পুলিশের৷ ধরা পড়ে ডেভিড৷
গাড়ি তল্লাশি করে সেখান থেকে একটা পিস্তল, শহরের ম্যাপ ও অনেক হুমকির চিঠি পাওয়া যায়৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, সে আসলে মানসিক ভাবে বেশ অসুস্থ৷
দিনের একটা বিশেষ সময় ডেভিডের মনে হত তাঁর প্রতিবেশির কুকুর স্যাম তাকে হত্যা করতে বলছে৷ সেখান থেকেই এক মার্কিন সাংবাদিক তাঁকে ‘সন অফ স্যাম’ বলে উল্লেখ করেন৷