সে দেশের সংবাদমাধ্যম সোমবার সরকারি নির্দেশিকার উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, ঢাকার কেন্দ্রীয় সেনানিবাসের বাশার রোড সংলগ্ন উত্তর দিকে অবস্থিত এমইএস বিল্ডিং নম্বর ৫৪-কে সাময়িক কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এমইএস বিল্ডিং নম্বর ৫৪-কে সাময়িক কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হল। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।”
advertisement
ট্রাম্পের নীতিতে তিতিবিরক্ত! আর থাকা যাচ্ছে না… আমেরিকা ছাড়ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নোবেলজয়ী, জানেন কে?
ডাক্তারি ছেড়ে IAS অফিসার! এখন ৫১ কোটি টাকার ঘুষকাণ্ডে নাম জড়াল যে কারণে… স্ত্রীও আমলা!
তবে এই অস্থায়ী কারাগারে কাদের রাখা হবে, তা নির্দেশিকায় স্পষ্ট করা হয়নি। হেফাজতে নেওয়া সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৪ জন বর্তমানে সক্রিয় সেনাসেবায় আছেন, আর একজন অবসর-পূর্ব ছুটিতে (এলপিআর) রয়েছেন।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের হওয়া দুইটি মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় এবং গত বছরের জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় মোট ২৫ জন অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মরত সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গত ৮ অক্টোবর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সেই নির্দেশের পরই ১৫ জন সেনাকর্তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়। ওই ২৫ জনের তালিকায় কর্মরত ১৬ জন সেনা কর্মকর্তার নাম ছিল। তাঁদের মধ্যে শেখ হাসিনার আমলের সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবীর আহম্মদ ছাড়া বাকিদের সবাইকে আটক করা হয়েছে। সেনার অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল হাকিমুজ্জামান জানিয়েছেন, কবীর আহম্মদ ‘আত্মগোপনে’ রয়েছেন, তাই এখনো তাঁর সন্ধান মেলেনি।