সংবাদ সংস্থা এএফপি-র কাছে চিনের বাণিজ্য মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন যে, চিনের বিরুদ্ধে শুল্ক বৃদ্ধির বিষয়ে আমেরিকার হুমকি একটি ভুলের উপরে আরও একটি ভুল, যা আবারও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্ল্যাকমেল করার স্বভাবকে প্রকট করে তুলল।
advertisement
চিন কখনওই তা মেনে নেবে না। ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ব্যাপক শুল্ক আরোপের মাধ্যমে বিশ্ব অর্থনীতিকে রীতিমতো বিপর্যস্ত করে তুলেছেন, যা আন্তর্জাতিক মন্দার আশঙ্কা তৈরি করেছে এবং বিশ্বব্যাপী তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
ক্ষমতাসীন চিনা কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র পিপলস ডেলি-র একটি মন্তব্যে বলা হয়েছে যে, মার্কিন শুল্কের একটা প্রভাব (চিনের উপর) তো আছেই। কিন্তু যা-ই হয়ে যাক না কেন, সব কিছুই ঠিক থাকবে। যখন ২০১৭ সালে প্রথম বাণিজ্য যুদ্ধের উদ্যোগ নিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র – আমেরিকা যেভাবেই লড়াই করুক কিংবা চাপ প্রয়োগ করুক না কেন – আমরা নমনীয়তা প্রদর্শন করে উন্নয়ন এবং অগ্রগতি অব্যাহত রেখেছি – আমাদের যত চাপ বাড়বে, আমরা তত শক্তিশালী হব।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টা এসি চললেও বিদ্যুতেল বিল আসবে শূন্য! এই নতুন ধরনের এসি কিনতে চান? জেনে নিন বিশদে
চিনের উপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্ক:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা সকল চিনা পণ্যের উপর অতিরিক্ত ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে বিদ্যমান শুল্ক কার্যকর হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সকল চিনা আমদানির উপর শুল্ক ৫৪ শতাংশেরও বেশি হয়ে যাবে। এরপরে বেজিং সমস্ত মার্কিন আমদানির উপর নিজস্ব বেসলাইন ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। শুধু তা-ই নয়, এর পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছে।
ট্রুথ সোশ্যালে সোমবার একটি পোস্ট করে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন যে, চিন যদি আগামিকাল অর্থাৎ ৮ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখের মধ্যে তাদের দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্য অপব্যবহারের উপর ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি প্রত্যাহার না করে, তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চিনের উপর ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করবে, যা আগামী ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে যে, পরিবর্তিত আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট যা-ই থাকুক না কেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম কনজিউমার মার্কেট হিসেবে চিন নিজেদের দরজা আরও প্রশস্ত ভাবে উন্মুক্ত করতে থাকবে।