৫৮ বছর বয়সী এই মহিলা জানাচ্ছেন, প্রতিটি মুহূর্তে এক অজানা আতঙ্গে ভুগছেন। কোনও মতেই সেন্ট জোসেফ গ্রামের নিজের বাড়ি ছেড়ে যেতে চান না তিনি। কিন্তু বিপরীত পরিস্থিতি বিপাকে ফেলছে বার বার। ইতিমধ্যেই তাঁর গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এবার ঘর ও ঘরের জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করার পালা। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অত্যন্ত দুঃখ, ক্ষোভ আর হতাশার সঙ্গে পাউচের বক্তব্য- আমি কি সত্যি বেঁচে নেই? কী করে বোঝাই আমি কিছুই করিনি, আমি এখনও বেঁচে আছি ?
advertisement
২০১৭ সালে লায়ন কোর্টে এক মামলার রায়ে জানিয়ে দেওয়া হয় যে পাউচে মৃত। কিন্তু এখনও ডেথ সার্টিফিকেটের কোনও অস্তিত্ব নেই। ঘটনায় একাধিক তথ্য-প্রমাণেও গণ্ডগোল হয়েছে বলে অভিযোগ। এই মামলা শুরু হয় এক আইনি ঝামেলা থেকে। পাউচের পুরনো কোম্পানির এক কর্মী কাজ হারানোর পর ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা শুরু করে। এর পর একাধিক আইনি জটিলতা চলে। মামলা চলাকালীন পাউচের আইনজীবী জানিয়ে দেন, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর মক্কেলের সংস্থা দায়বদ্ধ নয়। এর পর মামলাটির নিষ্পত্তি হয়ে যায়।
এর পর উচ্চ আদালতে মামলা ওঠে। তবে এর মাঝেই একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটে যায়। বেশ কয়েকবার শুনানির সময়ে পাউচে হাজির হননি। এর কারণ হিসেবে জানানো হয়, পাউচে বা তাঁর কোনও আত্মীয় না কি আদালতের তরফে কোনও নির্দেশই পাননি। ঠিক এই সময়ে আদালতের কোনও প্রক্রিয়ার মাঝেই একটা বড় ভুল হয়ে যায়। আর পাউচেকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেওয়া হয়।
দিন কয়েক আগেই পাউচের আইনজীবী বিষয়টি নিয়ে মামলা করেছেন। তবে এ এক অদ্ভুত ঘটনা। আইনজীবীর কথায়, একটা বড় ভুল হয়েছে। অবিলম্বে বিষয়টির রায় দেওয়া উচিৎ। আপাতত নিজের বেঁচে থাকা প্রমাণ করতে ব্যস্ত ফ্রান্সের মহিলা!