মস্কোর তরফ থেকে বলা হয়েছে, আপাতত ইউক্রেন সীমান্তে রয়েছে ১২৫ ব্যাটালিয়ান, সাধারণ সময়ে এখানে থাকে ৬০, ফেব্রুয়ারির শুরুতে তা ছিল ৮০ এর পর তা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমেরিকার তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, ইউক্রেনের অন্দরের অশান্তি তৈরি করছে রাশিয়া। দক্ষিণ ইউক্রেন বরাবর সোভিয়েত পন্থী ইউক্রেনের বাসিন্দাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত ঝামেলা লেগেই আছে ইউক্রেন সরকারের। সম্প্রতি সেই ঝামেলা অত্যাধিক আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা জানান দিচ্ছে এ সবের পিছনে রাশিয়ার ভূমিকা রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- দেশজুড়ে ১৭৪.৫৯ কোটিরও বেশি করোনার ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে নাগরিকদের: কেন্দ্র সরকার
আমেরিকার তরফ থেকে বারবারই বলা হয়েছে, রাশিয়া এখন ইউক্রেন দখলের ছুতো খুঁজছে। সামান্য কোনও ঘটনা ঘটলেই ইউক্রেন সীমান্তের মধ্যে ঢুকে পড়তে পারে রাশিয়া ও দখ নিতে পারে। আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, এই সপ্তাহে রাশিয়ার রাষ্ট্রনায়ক পুতিনের কাছে একাধিক সুযোগ রয়েছে ইউক্রেনে হামলা করার। হতে পারে সামান্য সময়ের নোটিসে পুতিন ইউক্রেন আক্রমণের নির্দেশ দিয়ে বসলেন। যদি ইউক্রেন দখল নেওয়া নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ওঠা আমেরিকার সমস্ত কথা কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে সে দেশ। যদিও রাশিয়া ইউক্রেনের তরফ থেকে নিশ্চিত কথা দাবি করেছে যে সে দেশে কোনওদিনই ন্যাটোর সঙ্গে যুক্ত হবে না।
আরও পড়ুন- "মাদ্রাসায় হিজাব খিজাব যা খুশি পরুন" হিজাব বিতর্কে সমালোচনার মুখে সাধ্বী প্রজ্ঞা
ইউক্রেনের ন্যাটো অন্তর্ভূক্তি নিয়ে অনেকদিন আগে থেকেই নানারকম কথা বলে আসছে আমেরিকা। কিন্তু ইউক্রেন ঝুঁকে রয়েছে ন্যাটোর দিকেই। সেই অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা যখন সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল হতে দেখা গিয়েছিল, তখনই ইউক্রেনের নাকের ডগায় সমর সজ্জায় সজ্জিত রাশিয়া বার্তা দিতে চাইল যে তাদের কথা অমান্য করে ন্যাটোয় যুক্ত হলে ফল ভাল হবে না।
