এই বিষয়ে সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিহতদের এক আত্মীয় মহম্মদ আসিফ বলেন, “আমার শালা,শালি এবং তাদের ছেলে, তিন মেয়ে এবং তাদের সন্তানরা উমরাহ পালন করতে গিয়েছিলেন। তারা আট দিন আগে রওনা হয়েছিলেন। উমরাহ সম্পূর্ণ হয়েছিল, এবং তারা মদিনায় ফিরছিলেন…”
আসিফ জানান, দুর্ঘটনার আগ পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “একটি পরিবারের ১৮ জন — ৯ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ৯ জন শিশু — মারা গেছেন। এটি আমাদের জন্য ভীষণ ভয়াবহ ট্র্যাজেডি,” তিনি বলেন। তিনি যেসব মৃত সদস্যদের শনাক্ত করেছেন তাদের মধ্যে ছিলেন “নাসিরুদ্দিন (৭০), তাঁর স্ত্রী আখতার বেগম (৬২), তাঁদের ছেলে সালাউদ্দিন (৪২), মেয়েরা আমিনা (৪৪), রিজওয়ানা (৩৮) এবং শবানা (৪০) এবং তাঁদের সন্তানরা।”
advertisement
পরিবারের রামনগরের বাড়িতে শোকের আবহ। ঘরে ঢুকতেই কান্নার রোল শোনা যাচ্ছিল। “আমার ভাইয়ের পুরো পরিবারটাই শেষ হয়ে গেছে,” বলছিলেন পরিবারের এক বোন, যিনি প্রতিবেশীর কাছ থেকে আনা চাবি আঁকড়ে ধরে ছিলেন।
দুর্ঘটনাটি ঘটে যখন ৪৬ জন যাত্রী বহনকারী একটি বাস মক্কা থেকে মদিনার পথে যেতে যেতে একটি তেল ট্যাংকারের সঙ্গে ধাক্কা খায়। মাত্র একজন যাত্রী প্রাণে বেঁচে যান। উপসাগরীয় অঞ্চলে ভারতীয় ধার্মিক মানুষদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার ভি সি সজ্জনার বলেন,
“সৌদি আরবে ভারতীয়দের এই ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা সত্যিই হৃদয়বিদারক। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বাসটিতে ৪৬ জন যাত্রী ছিলেন এবং দুঃখজনকভাবে তাঁদের মধ্যে মাত্র একজন বেঁচে আছেন।”
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর, এবং তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন।
এক্স-এ দেওয়া পোস্টে জয়শঙ্কর জানান যে রিয়াধে ভারতীয় দূতাবাস এবং জেদ্দার কনসুলেট নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সহায়তা করছে।
