খবর সূত্রে জানা গিয়েছে, শিয়া মুসলিম সম্প্রদায় অন্তভুর্ক্ত এলাকা খাদিমিয়াতেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয় ৷ আত্মঘাতী বোমার সাহায্যেই এই বিস্ফোরণ হয়েছে বলে খবর রয়েছে ৷
এর আগে জুলাই মাসের ৩ তারিখ বিস্ফোরণ ঘটেছিল বাগদাদে ৷ ২৮১ জনের মৃত্যু হয়েছিল সেই বিস্ফোরণের ঘটনায় ৷
ইদের কেনাকাটার সময় বিস্ফোরক বোঝাই একটি ট্রাক উড়িয়ে দিয়েছিল জঙ্গিরা। ২০০৭-এর পর থেকে যা যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকের সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি নাশকতা বলে দাবি সেদেশের প্রশাসনের।
advertisement
হামলার দু'দিন পরও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই দু'শোর বেশি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে আরও অনেকগুলি দেহ রয়েছে বলে আশঙ্কা। আগুনে ঝলসে গিয়েছে বেশিরভাগ দেহই। তাই ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া তাদের সনাক্ত করা সম্ভব নয়।
বিস্ফোরণের পরপরই ঘটনাস্থলে গিয়ে জনরোষের মুখে পড়েছিল ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদির কনভয়। এবার রাজধানী শহরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন আম ইরাকিরা। সেই জনরোষের আঁচ পেয়েই শহরজুড়ে নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করার আশ্বাস দিয়েছে সেদেশের ইন্টিরিয়র মিনিস্ট্রি।
তবে কিছুদিন আগেই আইএসের হাত থেকে ফালুজা পুনর্দখল করেছে ইরাকি সেনা। তা সত্ত্বেও কেন রোখা যাচ্ছে না আইএসকে? কেন বারে বারে জঙ্গিদের হাতে রক্তাক্ত হচ্ছে বাগদাদ? আত্মীয়-পরিজনদের দেহের পাশাপাশি এই প্রশ্নগুলিরও উত্তর খুঁজছেন বহু ইরাকি।