শুরু থেকেই এই অভিযানে যেতে চাননি সুলেমান। বহু বছর আগে সমুদ্রের গভীরে তলিয়ে যাওয়া টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার কথা ভেবেই যেন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন ১৯-এর যুবক। কিন্তু পিতৃদিবসে বাবার ইচ্ছাপূরণ করতেই তাঁর সঙ্গে ২২ ফুটের সেই ডুবোযানে চেপে বসেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তেমনটাই জানিয়েছেন তাঁর পিসি, শাহজাদার বোন আজমেহ দাউদ।
advertisement
ভাই এবং ভাইপোর এই মর্মান্তিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন আজমেহ। তিনি বলেন, “সুলেমানের কথা ভাবছি। ছেলেটার বয়স মাত্র ১৯। ওই সাবমেরিনে একটু নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য কত কষ্টই হয়ত করেছে। ভেবেই শরীর অবশ হয়ে আসছে।”
আরও পড়ুন : অতল অতলান্তিকে টাইটানিকের ৫০০ মিটার দূরে ৫ যাত্রীকে নিয়ে নিথর ‘টাইটান’! কেন ধ্বংস হল এই ডুবোজাহাজ, জানুন
বিগত কয়েক দিন টেলিভিশের পর্দা থেকে চোখ সরাননি আজমেহ। সমুদ্রের খোঁজে যখন টাইটানের খোঁজ চলছে, তখন কাছের মানুষদের ফিরে আসার অপেক্ষায় বসে থেকেছেন তিনি। কিন্তু শাহজাদা এবং সুলেমানের আর বাড়ি ফেরা হয়নি। সমুদ্রের অতলে চিরনিদ্রায় তাঁরা।
আজমেহ জানান, শৈশব থেকেই ‘টাইটানিক’ নিয়ে তুমুল আগ্রহ ছিল ভাই শাহজাদার। সেই জাহাজ নিয়ে বিভিন্ন তথ্যচিত্র দেখতেন তিনি। টাইটানিকের ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার করে আনা বিভিন্ন জিনিস দেখতে যেতেন মিউজিয়ামে। তাই তাঁর এই অভিযানের পরিকল্পনা শুনে বিশেষ অবাক হননি আজমেহ। কিন্তু কাছের মানুষেরা যে আর ফিরবেন না, তা ভাবতে পারেননি তিনি।