ঠাকুরগাঁও উপজেলার বালিয়াডিঙ্গির হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা বৈদ্যনাথ বর্মন অভিযোগ করেন, 'রাতের অন্ধকারে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা পর পর ১৪টি মন্দিরে দেবতাদের মূর্তি ভাঙচুর করেছে৷' তাঁর আরও অভিযোগ, বেশ কিছু মূর্তি যেমন ভাঙা হয়েছে, সেরকমই কয়েকটি মূর্তি মন্দির সংলগ্ন পুকুরের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে৷
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ফের আসবে মাছ, আমদানি-রফতানির জটিলতা কাটল ত্রিপুরায়
advertisement
ওই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের আর এক নেতা সমর চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যে অঞ্চলে এই ঘটনা ঘটেছে, সেখানে বরাবরই হিন্দু এবং মুসলিমদের মধ্যে সম্পর্ক খুবই ভাল৷ অতীতে কখনওই সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি৷ তিনি বলেন, 'এখানকার সংখ্যাগুরু মুসলিমদের সঙ্গে হিন্দুদের সম্পর্ক যথেষ্ট ভাল৷ আমরা বুঝতে পারছি না, কারা এমন ঘটনা ঘটালো৷'
আরও পড়ুন: অসুস্থ জামাইকে দেখতে বাংলাদেশ থেকে রানাঘাটে এসেছিলেন, সর্বনাশ ঘটল বৃদ্ধার সঙ্গে...
ঠাকুরগাঁও-এর পুলিশ প্রধান জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, 'এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করতে পরিকল্পিত ভাবেই পর পর মন্দিরগুলিতে হামলা চালানো হয়েছে৷' তিনি আরও জানান, ঘটনার পর পরই পুলিশ দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে৷ ওই পুলিশ আধিকারিকের আশ্বাস, 'দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷'
ঠাকুরগাঁও অঞ্চলের প্রশাসনিক প্রধান মেহবুবুর রহমান বলেন, 'এলাকার শান্তি, সম্প্রীতি নষ্ট করতেই এই চক্রান্ত করা হয়েছে৷ এটা অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ৷ দোষীদের এর ফল ভুগতে হবে৷'