বাংলাদেশে ছাত্রনেতা শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর যে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে এতে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ভারত বিরোধিতা। যদিও ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালী সরকার এই অস্থিরতাকে শোকের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখাচ্ছে, বাস্তবে গোয়েন্দা তথ্য বলছে, এর গুরুত্ব অনেক বেশি। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নতুনভাবে গড়ে তুলতে বাধা দেওয়ার জন্য এবং বাংলাদেশের অগ্রগতি আটকানোর জন্যই ইচ্ছাকৃত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: জাহাজ দিয়ে ধাক্কা মেরে ভারতের ট্রলার ডুবিয়ে দেওয়া নিয়ে অবশেষে মুখ খুলল বাংলাদেশের নৌসেনা
বাংলাদেশ সরকার দূতাবাসগুলি রক্ষা করতেও ব্যর্থ হচ্ছে। এই অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামে Indian Assistant High Commission লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ এবং ঢাকাতে High Commission অবরোধ করা। দূতাবাসগুলি রক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার ঘটনা শুধুমাত্র সরকারের ব্যর্থতা নয়, সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, Jamaat-e-Islami-ঘনিষ্ঠ নেটওয়ার্কগুলো ওসমান হাদির মৃত্যুপ পরপরই খুব নিখুঁতভাবে সক্রিয় করা হয়েছিল। হস্তক্ষেপ করার মতো ক্ষমতা থাকলেও, ঢাকা পুলিশ রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কার্যত অচল হয়েছিল। অফিসারদের নাকি নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, “পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে” এই আশঙ্কায় সঙ্গে সঙ্গে কাউকে গ্রেফতার না করতে, যার ফলে হামলাকারীরা ছড়িয়ে পড়ার এবং পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল।
আরও পড়ুন: যুবভারতীতে মেসি কাণ্ডে শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে পুলিশ! খতিয়ে দেখা হল নথিপত্র
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এই প্রশাসনিক অচলাবস্থা একটি নির্দিষ্ট প্রচারকৌশলকে সামনে আনে: পুলিশ যদি কঠোরভাবে ব্যবস্থা নিত, তাহলে সেটাকে ‘ভারতপন্থী দমন‘ কার্যকলাপ বলে প্রচার করা হতো, যা চরমপন্থীদের দাবি মজবুত করত যে, এই অস্থিরতা ভারত-সমর্থিত ষড়যন্ত্র। এই পরিকল্পিতভাবে দোষ ভারতের ওপর চাপানোর কৌশল ব্যবহার করেই হাসিনাপন্থী এবং মৌলবাদ বিরোধীদের অচল করা হচ্ছে। চরমপন্থীরা যাতে রাস্তায় আধিপত্য বিস্তার করতে পারে এবং ভারতবিরোধী ও হিন্দুবিরোধী মনোভাব ছড়াতে পারে, সেটা মেনে নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কড়া পদক্ষেপ করছে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস এই অস্থিরতায় একাধিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন। নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের চরমপন্থীদের যে আধিপত্য বেড়েছে তা বুঝতে পেরে মৌলবাদ এবং সন্ত্রাসবাদকে দমন না করে তাদের সমর্থন আদায় করতে চাইছেন। নির্বাচনের পরে যে সরকার গঠিত হবে তা এই মৌলবাদকে কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে না কি প্রশ্রয় দেয় সেটাই দেখার।
