বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, শুক্রবার রাতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের বিএনপির সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক ও ব্যবসায়ী বেলাল হোসেনের বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়৷ জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে ঘুমোচ্ছিলেন বেলাল এবং তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। রাত ২টো নাগাদ কয়েক জন উন্মত্ত ব্যক্তি সদর দরজায় তালা লাগিয়ে বেলালদের বাড়িতে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে বেলালের সাত বছরের শিশু কন্যার৷ জখম আরও দুই কন্যা৷
advertisement
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদ পারভেজ জানিয়েছেন, “কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে এবং এর পেছনের উদ্দেশ্য কী, তা আমরা তদন্ত করে দেখছি।” লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) অরূপ পাল বলেন, “রাত প্রায় ২টার দিকে দুই কিশোরী ও তাদের বাবাকে দগ্ধ অবস্থায় জরুরি বিভাগে আনা হয়। বেলাল হোসেনকে এখানে ভর্তি রাখা হয়েছে, তবে দুই মেয়ের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। তাদের শরীরের প্রায় ৫০–৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে।”
বেলালের মা হাজেরা বেগম জানান, রাতের খাবার খেয়ে পরিবারটি ঘুমিয়ে পড়ার পর রাত প্রায় ২টার দিকে বিক্ষুব্ধ লোকজন বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার জন্য পেট্রোল ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন, তিনি হামলাকারীদের শনাক্ত করতে পারেননি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু অত্যাচার নিয়ে সরব প্রিয়ঙ্কা! হস্তক্ষেপ করুক কেন্দ্র, দাবি কংগ্রেস নেত্রীর
দ্য ডেইলি স্টার-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে যাই। রাত প্রায় ১টার দিকে জানালা দিয়ে দেখি আমার ছেলের টিনের ঘর জ্বলছে। আমি চিৎকার করতে করতে বাইরে যাই, কিন্তু দেখি ঘরের দুই দরজাই বাইরে থেকে তালাবদ্ধ। আমি ভেতরে ঢুকতে পারিনি। পরে আমার ছেলে দরজা ভেঙে বের হতে সক্ষম হয়। তার স্ত্রী নাজমা তাদের চার মাসের শিশু আবির হোসেন ও ছয় বছর বয়সী ছেলে হাবিবকে নিয়ে বের হতে পেরেছিলেন।”
