সীমান্তে ভারত পরিকাঠামো তৈরি করেছে। তাতেই চিনের গোঁসা। মে মাসের শুরু থেকেই কাশ্মীরের লাদাখে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে উত্তেজনা। ভারত-চিন সংঘাতের আবহ। মাঝে কিছুটা বরফ গললেও সোমবার রাতে একেবারে সংঘর্ষ। রক্তাক্ত পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা। উত্তেজনা কমাতে দু’দেশের উচ্চপদস্থ সেনাদের মধ্যে আলোচনা চলছিল। তখনই চিনের হামলা ৷
লাদাখ সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এবং বিনা প্ররোচনায় চিনের হামলার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও ৷ ট্যুইট করে তিনি জানান, শহিদদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি ৷ ভারতীয় সেনার পাশে আছি আমরা ৷ বীর সেনা এবং তাঁদের পরিবারের কথা এখন চিন্তা করছি আমরা ৷
advertisement
গালওয়ান উপত্যকার ১৪ নম্বর পেট্রলিং পোস্টের কাছে সংঘর্ষ বাধে ৷ মঙ্গলবার, দুপুরে ভারতীয় সেনা বিবৃতি দিয়ে জানায়,উত্তেজনা কমাতে আলোচনা চলার সময়ই ভারত-চিন সংঘর্ষ। সোমবার রাতে গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন হিংসাত্মক সংঘর্ষে দু’পক্ষেরই সেনা হতাহতের খবর রয়েছে। পূর্ব লাদাখের এই সংঘর্ষে পারদ চড়ে দিল্লিতে। দফায় দফায় জরুরিভিত্তিতে বৈঠক। তিন সামরিক বাহিনীর প্রধান এবং চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রী।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে গিয়ে রিপোর্ট দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। পরে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরও প্রধানমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেন। লাদাখে সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্বে থাকে আইটিবিপিও। আইটিবিপির ডিজির সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।