লাদাখের গালওয়ান সেক্টরে ভারত এবং চিনের সেনার মধ্যে সংঘাত চরমে পৌঁছেছে৷ চিনের হামলায় ভারতীয় সেনার এক কর্নেল ছাড়াও দুই জওয়ানের মৃত্যু হয়৷ ভারতের পাল্টা হামলায় চিনেরও পাঁচ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে স্বীকার করেছে চিনা সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস৷ তবে এই সংঘর্ষের পর দুই দেশই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের বার্তা দিয়েছে৷
advertisement
এই ঘটনার পরই চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত এবং সেনাবাহিনীর প্রধান এম এম নারভানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন৷
যদিও ঠিক কী ধরনের সংঘর্ষ লাদাখে হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ তবে সূত্রের খবর, দুই বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে কোনও আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার হয়নি৷ সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, 'গালওয়ান উপত্যকায় উত্তেজনা প্রশমনের প্রক্রিয়া চলাকালীনই দু' তরফে হিংসাত্মক সংঘর্ষ শুরু হয়৷ ভারতের দিকে একজন অফিসার এবং দু' জন সেনার মৃত্যু হয়েছে৷ দু' পক্ষের সিনিয়র সেনা আধিকারিকরা উত্তেজনা কমাতে বৈঠক করছেন৷'
ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফেও বিবৃতি দিয়ে অভিযোগ করা হয়, চিনের তরফে একতরফা ভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায় স্থিতাবস্থা বদলের চেষ্টা করা হয়৷ বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রক জানায়, 'সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট দায়িত্বশীল আচরণই করে এসেছে ভারত৷ ওই এলাকায় যে কার্যকলাপ করা হয়েছে, তার সবটাই ভারতীয় এলাকার মধ্যে করা হয়েছে৷ চিনের থেকেও আমরা একই ব্যবহারের আশা রাখি৷ ভারত সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা এবং যে কোনও সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে বিশ্বাসী৷ তবে একই সঙ্গে ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা বজায় রাখাটাও আমরা নিশ্চিত করব৷'
বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, শীর্ষস্তরে যে চুক্তি হয়েছিল তা মেনে চললেই যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, তা চাইলেই এড়ানো যেত৷ দুই দেশ সহমতের ভিত্তিতে যে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিল, চিন তার থেকে সরে না এলে গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সৃষ্টি হওয়া বিবাদ মসৃণ ভাবেই মেটানো যেত বলে বিবৃতিতে দাবি করেছে বিদেশমন্ত্রক৷