সামাজিক প্রথা মেনে সকাল থেকে পুজো আচ্চা আর তারপর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। গালওয়ান সীমান্তে চিনা সেনার হামলায় প্রাণ হারানো রাজেশ ওরাং-র গ্রাম জুড়ে আজ, সোমবার সকাল থেকে এক অন্য পরিবেশ। সামাজিক রীতি নীতি মেনে সোমবার ছিল রাজেশের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান আয়োজনের পালা। বেলগড়িয়া গ্রামের ওরাং বাড়ির গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা বটতলাতে শহিদ দাদার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের কাজ সারলেন বোন শকুন্তলা-সহ পরিবারের বাকি সদস্যরা।
advertisement
গ্রামের ছেলের শেষ কাজে সামিল হয়েছিল গোটা গ্রাম। চোখের জল লুকিয়ে রাজেশের অন্ত্যেষ্টি যাত্রায় পা মিলিয়ে ছিল বেলগড়িয়া। শুধু বেলগড়িয়া কেন! গোটা বাংলা, গোটা দেশ গর্বে মাথা উঁচু করে স্যালুট জানিয়েছে দেশের জন্য প্রাণ দেওয়া বছর ছাব্বিশের তরুণ জওয়ানকে। শহীদ জওয়ানকে শ্রদ্ধা জানান হয়েছে জাতি, ধর্ম, রং নির্বিশেষে। হুগলীর তারকেশ্বরে শহীদ জাওয়ানের আত্মবলিদানকে সম্মান জানাতে আয়োজন করা হয়েছিল রক্তদান শিবিরের।
জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,"সবাই পারে না। রাজেশ পেরেছে। বাংলার মানুষ হিসেবে রাজেশের জন্য গর্বিত।" রাজেশের আত্মবলিদানকে শ্রদ্ধা জানাতেই রক্তদানের মাধ্যমে শহীদ স্মরণ। রাজেশের বাল্য বন্ধু দিবাকর মুখোপাধ্যায় যেমন বলেছিলেন, "পাড়ার ছেলেকে হারানোর শোক এখনও ভুলতে পারেনি বেলগড়িয়া। রাজেশের পরিবার এখনও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।"
এত কিছুর মধ্যেও সামাজিক প্রথা মেনে রাজেশের আত্মার জন্য সোমবার সকাল থেকেই প্রার্থনা করেছে বেলগড়িয়া। শহিদ জওয়ানের স্মরণে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে বেলগড়িয়া গ্রাম পর্যন্ত এঁকে বেঁকে এগিয়ে চলা রাস্তাটা রাজেশের নামে করার দাবি তুলেছেন ওর সঙ্গে বেড়ে ওঠা মানুষজন।
PARADIP GHOSH