প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানান,"অবস্থা যা ছিল মোটামুটি তাই আছে। এই ধরনের স্ট্যান্ড অফ কতদিন চলে সেটা বলা সম্ভব নয়। ভারত আশাবাদী আলোচনার মাধ্যমেই রাস্তা বেরোবে। তবে যাই হোক, কোন অবস্থাতেই আগে সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে না ভারত। চিন যদি সেনা প্রত্যাহার শুরু করে, তাহলে ভারত রাজি আছে। না হলে এই প্রশ্ন অবান্তর"। প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন সীমান্তের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যথেষ্ট শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে ভারতীয় সেনার। চিন চাইলেও কোনও দুঃসাহস দেখাতে পারবে না। পাশাপাশি তিনি মনে করেন প্রচন্ড দ্রুতগতিতে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায়।
advertisement
অতীতের তুলনায় এই মুহূর্তে চিন সীমান্তে ভারতের পরিকাঠামো অনেক বেশি উন্নত। রাস্তা, ব্রিজ এমনকি টানেল তৈরি করছে ভারত। যে রাস্তা অতিক্রম করতে আগে তিন থেকে চার ঘন্টা লাগত, এখন এক ঘণ্টার বেশি লাগে না। চিন অনেক জায়গায় ভারতের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ বন্ধ করতে চেয়েও লাভবান হয়নি। এই উন্নত পরিকাঠামো চিনের অন্যতম মাথাব্যথার কারণ। কয়েকদিন আগে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন গত চার দশকের ভেতর চিনের সঙ্গে সম্পর্ক এত তলানিতে কখনও যায়নি। রাজনাথ জানান,"ভারত পড়শি দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাসী। অতীতে তাই করে এসেছে। এখনও এই প্রথায় আমরা বিশ্বাসী। কিন্তু বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে কেউ যদি ঠকায় তার জবাব দিতে এই ভারত জানে"।
চিনের তরফে অবশ্য কোনও জবাব দেওয়া হয়নি। কয়েকদিন আগেই পিএলএ ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডে(ভারতের সঙ্গে লাগোয়া সীমান্ত) নতুন জেনারেলকে দায়িত্ব দিয়েছে। শি জিনপিং নিজেই বেছে নিয়েছেন ওই জেনারেলকে। খুবই ধূর্ত এবং নির্মম বলে পরিচিত জেনারেল ঝাং ঝুডং। ভারত অবশ্য নিজেদের সব খুঁটিনাটি তৈরি রেখেছে। সময় এলে চিনকে যোগ্য জবাব দিতে পিছপা হবে না ভারতীয় সেনা।