লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি)-য় উত্তেজনা কমাতে ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট) দেখে বলা যেতেই পারে যে, দুই দেশের সম্পর্কের বরফ হয়তো গলতে শুরু করেছে৷ গতকালই এক বিবৃতি জারি করে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক পূর্ব লাদাখ থেকে দুই দেশের সামরিক সম্ভার সরানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল৷ জানা যায় দ্বিপাক্ষিক নবম পর্বের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের সুত্র ধরে এই সিদ্ধান্তে এসেছে দুই দেশ৷ ভারতীয় সেনা প্যাংগং লেকের উত্তর দিকে ফিঙ্গার ৩-এর দিকে সরে যাচ্ছে। অন্যদিকে চিন তাদের সেনা ফিঙ্গার ৮ পয়েন্টে দিকে সরিয়ে নিচ্ছে৷
advertisement
বৃহস্পতিবার সংসদে দাঁড়িয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, "পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেকের উত্তর ও দক্ষিণ তীর থেকে সেনা সরানো নিয়ে চিনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির দিকে এগোচ্ছে ভারত৷ এই চুক্তির পরেই সুসংবদ্ধ ও স্বীকৃত ভাবে ভারত-চিন পরবর্তী সেনা প্রত্যাহারের পথে যাবে৷ আমি এই কক্ষের সকলকে এই ব্যাপারে আশ্বস্ত করতে চাই যে, এই আলোচনায় ভারত কিছু হারায়নি৷ ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে উত্তর এবং দক্ষিণ তীরবর্তী অঞ্চলে উভয় পক্ষের দ্বারা নির্মিত যে কোনও কাঠামোই সরানো হবে এবং ভূমিগুলি পুনরুদ্ধার করা হবে৷ বিষয়টি পারস্পরিক ভাবে ঘটবে৷"
এদিন রাজনাথ সিং ভারতীয় সেনারও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন৷ তিনি বলেছেন যে, লাদাখের ওই কনকনে ঠান্ডায় দেশের জওয়ানরা যেভাবে নিজেদের কর্তব্য পালন করেছেন, তা বুঝিয়ে দেয় যে, দেশের জন্য তাঁরা কর্তব্যে অবিচল এবং যে কোনও পরিস্থিতিতেই দেশের রক্ষার জন্য ভারতীয় সেনা প্রস্তুত আছে৷