#নয়াদিল্লি: সত্তর বছর ধরে মাথা ঘামায়নি। সেই গালওয়ান উপত্যকাই এখন চিনের টার্গেট। কিন্তু কেন? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
প্রথমে চোখে-চোখ। তারপর প্রাণঘাতী হামলা। এখানেই না থেমে, বিশ্বাসঘাতকতা। কথা দিয়েও কথা না রেখে, পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে পাকা ঘাঁটি তৈরি করে ফেলেছে চিন।
প্রায় সাত দশক ধরে গালওয়ান উপত্যকা নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামায়নি চিন। এখন সেই গালওয়ানকেই তারা নিজেদের বলে দাবি করছে। পাঠাচ্ছে শয়ে শয়ে সেনা। তৈরি করছে পাকা ঘাঁটি। কিন্তু, কেন? কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, স্পর্শকাতর তিব্বত-জিংঝিয়াং হাইওয়ে থেকে ভারতীয় সেনাকে দূরে রাখতেই চিনের টার্গেট গালওয়ান ৷ উনিশ শতকে পশ্চিমের ভূপর্যটকদের গাইডের কাজ করা গুলাম রসুল গালওয়ানের নামে এই উপত্যকার নামকরণ করা হয় ৷ পর্যটকেরা এই গালওয়ান থেকে যেতেন তিব্বত এবং জিংঝিয়াং-এর উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত এলাকায় ৷ ১৯৫১ থেকে ১৯৫৭ সালের মধ্যে এই জিংঝিয়াং এবং তিব্বতের মধ্যে হাইওয়ে বানানো হয় যা আকসাই চিনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে ৷ গত বছর নরেন্দ্র মোদি সরকার লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার পরেই চিন চাপে পড়ে ৷ কারণ, বেজিংয়ের ধারণা, আকসাই চিন দখলের জন্যই নাকি নয়াদিল্লির এই পদক্ষেপ ৷
advertisement
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তড়িঘড়ি বেজিং গিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন, এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। চিনের সীমান্তবর্তী বিতর্কিত ভূখণ্ডে আগ্রাসনের কোনও পরিকল্পনাই নয়াদিল্লির নেই। তবে তাতে কাজ হয়নি। বেজিং দাবি করে, চিনের সার্বভৌমত্বকে খাটো করতেই নাকি ভারত লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করেছে। সেই মতো, পূর্ব লাদাখে ভারতের রাস্তা এবং পরিকাঠামো তৈরি রুখতে মরিয়া চেষ্টা শুরু করে বেজিং ৷ কারণ, চিন মনে করে, লাদাখকে নিয়ে ভারতের ঘোষণা এবং রাস্তা-পরিকাঠামো তৈরির মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে ৷ তাই চিনের এখন গালওয়ান দখলের চেষ্টা জারি রয়েছে ৷ যাতে ভারতীয় সেনাকে আকসাই চিন এবং জিংঝিয়াং-তিব্বত হাইওয়ে থেকে দূরে রাখা যায় ৷ এই ভুল ধারণা নিয়েই ঝাঁপাচ্ছে চিন। টার্গেট করেছে গালওয়ান।