সাইটে গিয়ে এই তথ্য খুঁজতে গেলে ক্লিক করতে গেলে দেখাচ্ছে যে, এই URL-টি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় অধিগ্রহণ পরিবর্তে যদিও অতিক্রান্ত শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছিল৷
৫ মে ২০২০ থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় আগ্রাসন বেড়েছে ৷ বিশেষ করে গালওয়ান উপত্যকায়৷ কুংরাং নালা, গোগরা, প্যাংগম তসো লেকের উত্তর দিকে চিনা সেনা অতিক্রম করেছে৷ চিনা আগ্রাসন নিয়ে এই নতুন তথ্য জানানো হয়েছিল মন্ত্রকের তরফে৷
advertisement
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে আসা ওই ডকুমেন্টে লেখা ছিল যে, দুই দেশের মধ্যে এই সমস্যা দীর্ঘমেয়াদি এবং এটা মেটাতে সঠিক পদক্ষেপ প্রয়োজন৷ যদিও সরকারের পক্ষ থেকে এখনও অধিগ্রহণের কথা স্বীকার করা হয়নি৷ এমনকী, ৫-৭ মে প্যাংগং লেক এলাকায় দুই দেশের মুখোমুখি সংঘর্ষের পরও৷ যে তথ্যটি সেই কথা সরকারি ভাবে জানিয়েছিল তা এখন আর নেই কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র জানান যে, তিনি এই নথি দেখেননি৷
এই নিয়ে ফের সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি৷ তিনি প্রশ্ন তুলেছেন যে, কেন প্রধানমন্ত্রী মিথ্যাচার করছেন? যে তথ্যটি প্রকাশিত হয়েছিল, তিনি সেই তথ্যটি ফের চেয়ে আপলোড করার দাবি জানিয়েছেন৷
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রা রাজনাথ সিং জানিয়েছিলেন যে, কিছু চিনা সেনা কিছুটা এগিয়ে এসেছে ঠিকই তবে দেশের মাটি অধিগ্রহণের কথা তিনি স্বীকার করেননি৷ এই নিয়ে তথ্যের ভুল ব্যাখা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান৷
আরও পড়ুন Breaking: প্রয়াত বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী
দুই দেশের কমান্ডার স্তরের ৫ দফা বৈঠকের পরও যে জায়গাগুলির দখল নিয়েছে বেজিং সেখান থেকে তারা সরতে নারাজ বলে জানা গিয়েছে৷ ভারতের অভিযোগ, এখনও প্যাংগং তাসো হ্রদ, ফিঙ্গার পয়েন্ট, গোগরা, হটস্প্রিং থেকে পিছু হঠেনি চিনা সেনা৷ ফলে ভারতও ওই এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেনি৷ যে কারণে ওই জায়গাগুলিতে এখনও সংঘাতের পরিস্থিতি থেকেই গিয়েছে৷ চিনের দাবি খারিজ করে ভারত স্পষ্ট জানিয়েছে, পূর্ব লাদাখে এখনও সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি৷