তামিলনাড়ুর রামনাথপুরমে কাডুক্কালিউরে পাঝানির বাড়ি৷ এ বছর জানুয়ারিতে শেষবার বাড়ি এসেছিলেন৷ তারপর থেকে আর ছুটি পাননি৷ প্ল্যান করেছিলেন জুনে ফিরবেন নতুন বাড়িতে গৃহপ্রবেশ করবেন৷ কিন্তু পরিবারকে ফোন করে জানিয়ে দেন, সীমান্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত৷ ছুটি বাতিল হয়েছে৷
ভারতীয় সেনায় তিনি হাভিলদার পদে ছিলেন৷ পূর্ব লাদাখে সীমান্তে কী পরিস্থিতি, তা সম্পর্কে পরিবারকে খুব কমই জানিয়েছিলেন৷ শুধু বলেছিলেন, একটু সমস্যা চলছে বর্ডারে৷ স্ত্রীর কথায়, 'ও শুধু বলেছিল, এখনই ফিরতে পারছি না৷ এখানে কিছু সমস্যা চলছে৷'
advertisement
বাবা যখন শহিদ হয়ে গিয়েছেন, তখনও পাঝানির ১০ বছরের ছেলে ও ৮ বছরের মেয়ে উঠোনে খেলছে আপন মনে৷ তারা জানে না৷ পাঝানির ভাইও সেনাবাহিনীতেই রয়েছেন৷ তিনিই ফোন করে জানান পরিবারকে৷
পাঝানির ঘরে ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন বৃদ্ধ মা-বাবা৷ বাবা পেশায় চাষি৷ বড় আশা ছিল, ছেলে অবসর নেওয়ার পরে গ্রামের নতুন বাড়িতে সবাই মিলে একসঙ্গে থাকবেন৷ ১৮ বছর বয়সে ভারতীয় সেনায় যোগ দেন পাঝানি৷ গ্রামের স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পরে বাকি পড়াশোনা তিরুচেন্দুরে শেষ করেন৷ বৃদ্ধ বাবা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'ও বিএ পাশ করেছিল৷ খুব বুদ্ধিমান ছেলে ছিল৷ ২১ বছরের বেশি সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কাজ করেছে৷ নতুন বাড়ির গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠানে আসতে না পেরে খুব আক্ষেপ করছিল৷ বলেছিল, জন্মদিনটা নতুন বাড়িতেই কাটাবে...৷' কান্নায় ভেঙে পড়লেন বৃদ্ধ৷