ভারত-চিন সীমান্তে আসল পরিস্থিতিটা কী, তা প্রকাশ্যে আনার দাবি জানিয়ে লাগাতার ট্যুইট করে চলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি৷ লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীও সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে সংসদকে ওয়াকিবহল করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করেছেন৷ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় কী পরিস্থিতি, তা সংসদে সরকারের জানানো উচিত বলে শুক্রবার দাবি করেছেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার৷ ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা চেয়ে ইতিমধ্যেই সংসদের দুই কক্ষেই নোটিস দিয়েছেন বিরোধী দলগুলির একাধিক সাংসদ৷ যদিও সরকারের ভাবনা অন্যরকম বলেই খবর৷
advertisement
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য জানিয়েছেন, 'আমাদের সরকার কখনওই বিতর্ক বা আলোচনা এড়িয়ে যায়নি৷ কিন্তু এই বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং এর সঙ্গে দেশের নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িয়ে৷ জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কৌশলগত বিষয়গুলি এ ভাবে প্রকাশ্যে আলোচনা করা সম্ভব নয়৷'
রবিবার সংসদের বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনার দাবি উঠলে সেখানেই বিরোধীদের সরকারের মনোভাব জানিয়ে দেওয়া হবে৷ বিরোধীদের বুঝিয়ে বলা হবে যে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে চিনের সঙ্গে সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক কিছু ঘটতে চলেছে৷ তার পরেও যদি বিরোধীরা নিজেদের দাবিতেই অনড় থাকে, সেক্ষেত্রে হয়তো প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সংসদের দুই কক্ষের সামনেই একটি বিবৃতি পাঠ করবেন৷
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক আরও এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, 'কংগ্রেস এবং বিরোধীরা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল৷ আমরা আশা করব তারা এই বিষয়টিকে রাজনীতির বাইরে রাখবে৷ এই মুহূর্তে আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশের সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়ানো উচিত৷'
সংসদের প্রতিটি অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই লোকসভার অধ্যক্ষ এবং রাজ্যসভার ভাইস-চেয়ারম্যান সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দেন৷ কিন্তু এবারে করোনা অতিমারি পরিস্থিতির জন্য সে সমস্ত বৈঠকই বাতিল হয়েছে৷ ফলে সবকিছুই বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠকে আলোচনা করা হবে৷