লাঠিতে কাঁটাতার লাগানো মধ্যযুগীয় অস্ত্র ব্যবহার করে চিনা সেনা। উঁচু পাহাড়ে মারামারি চলার সময় দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন সেনা তলার গালওয়ান নদীতে পড়ে যান। প্রায় সাত ঘন্টার ওপর ধরে চলা এই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কুড়িজন ভারতীয় জওয়ান প্রাণ হারান। চিন সরকারিভাবে তাঁদের সেনাদের মৃত্যুর সংখ্যা না জানাতে চাইলেও বিভিন্ন সূত্র মারফত নিশ্চিত হওয়া যায় প্রায় চল্লিশ জন পিএলএ সেনা এই সংঘর্ষে প্রাণ হারান। তালিকায় ছিল একজন কমান্ডিং অফিসার ও। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিহত চিনা সেনাদের কবরের ছবি ভেসে ওঠে। এই ঘটনার কয়েকদিন পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং ভারতীয় সেনাদের শ্রদ্ধা জানাতে লাদাখে যান। চিনের বিস্তারবাদ নীতির তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। পাশাপাশি ভারতীয় সেনারা যে জবাব দিয়েছে সেই জবাব শত্রু দীর্ঘদিন মনে রাখবে জানান প্রধানমন্ত্রী।
advertisement
গোটা দেশ শ্রদ্ধা জানিয়েছিল নিহত ওই সেনাদের। নিজেদের দেশে এই ঘটনার পর চাপে পড়েছিল জিনপিং সরকার। চিনা মিডিয়ার একাংশ জানিয়েছিল ভারত নিজেদের শহিদ দের যেভাবে সম্মান দেয়, পিএলএ তা কেন করতে পারে না? পরিস্থিতি এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিক হয়েছে তা নয়। প্রায় আট মাস ধরে দুই দেশের বাহিনী একে অপরের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। আলোচনার টেবিলে বহুবার বসেও লাভ হয়নি। কিন্তু ওই রাতে প্রাণ দিয়েও পেট্রোলিং পয়েন্ট চোদ্দো রক্ষা করেছিল কর্নেল বাবু এবং তাঁর জওয়ানরা। না হলে ওই জায়গা আজ চিনের কব্জায় চলে যেত। তাই অন্তত পাঁচ জন ভারতীয় সেনা প্রজাতন্ত্র দিবসে মরণোত্তর শ্রদ্ধা পদক পাচ্ছেন সেটা একরকম নিশ্চিত।