লাদাখে মুখোমুখি ভারত-চিন। বিবাদ মেটাতে ফের একবার ঘুরিয়ে মধ্যস্থতার প্রস্তাব মার্কিন প্রেসিডেন্টের। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক বৈঠক থেকে বার্তা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘ভারত ও চিনের মধ্যে বড়সড় বিবাদ চলছে। দুই দেশেরই জনসংখ্যা ১৪০ কোটি। দুই দেশই সামরিক ক্ষেত্রে অত্যন্ত শক্তিশালী। ভারত খুশি নয়। চিনও সম্ভবত খুশি নয়। আমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা হয়েছে। চিনের সঙ্গে যা চলছে তাতে মোদির মেজাজ ঠিক নেই।’’
advertisement
সূত্রের খবর, ট্রাম্পের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। সূত্রের দাবি, নরেন্দ্র মোদি ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে সম্প্রতি কোনও কথাই হয়নি। শেষবার কথা হয় ৪ এপ্রিল। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নিয়ে। এর আগে বুধবার, ট্যুইট করে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সে দিনই বিদেশ মন্ত্রক জানিয়ে দেয় শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে চিনের সঙ্গে ভারত আলোচনা চালাচ্ছে ৷ বেজিংও শুক্রবার ট্রাম্পের প্রস্তাব খারিজ করে। জানায়, ভারত-চিন সীমান্তে সংকট মেটাতে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কোনও প্রয়োজন নেই ৷
এর আগে ভারত-পাকিস্তান বিবাদ মেটাতেও বারবার মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বারবারই তা খারিজ করে দেয় নয়াদিল্লি। নরেন্দ্র মোদি বুঝিয়ে দেন, দ্বিপাক্ষিক কোনও সংকট মেটাতে তৃতীয় পক্ষের নাক গলানো ভারত মোটেই বরদাস্ত করবে না। তারপরেও এবার ভারত-চিন নিয়ে মধ্যপ্রস্থতার প্রস্তাব ট্রাম্পের। কূটনীতিকদের একাংশের মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আসলে কৌশলে চিনের উপর চাপ বাড়াতে চাইছেন।