সাকতেং অভয়ারণ্যের জন্য অনুদান পেতে Global Environment Facility-তে আবেদন জানিয়েছিল ভুটান৷ কিন্তু ভুটানের এই আবেদন নিয়ে আপত্তি জানায় চিন৷ তাদের দাবি, ওই এলাকা নিয়ে বিবাদ রয়েছে৷ ফলে তা নিজেদের বলে দাবি করতে পারে না ভুটান৷ চিনের আপত্তি সত্ত্বেও ভুটান ওই অনুদান পেয়েছে৷ পাশাপাশি, নয়াদিল্লিতে অবস্থিত চিনা দূতাবাসকে ভুটানের তরফে কড়া বার্তা দিয়ে জানানো হয়েছে সাকতেং অভয়ারণ্যের গোটাটাই তাদের ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ৷
advertisement
সাকতেং অভয়ারণ্য ভুটানের ত্রাসিগাং প্রদেশে অবস্থিত৷ চিনের এই কৌশল আসলে দিল্লির সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার জন্য ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির উপরে বেজিংয়ের রাগের বহিঃপ্রকাশ বলেই মনে করা হচ্ছে৷
২০১৭ সালে ভুটানের অন্তর্গত ডোকলামে ঢুকে পড়েছিল চিনা সেনা৷ সেখানে রাস্তা নির্মাণের তোড়জোড় শুরু করে তারা৷ পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে ভারতীয় সেনাও৷ ৭২ দিন ধরে দু' তরফে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর শেষ পর্যন্ত স্থিতাবস্থা ফেরানো সম্ভব হয়৷ এ বারেও বেশ কিছুদিন ধরেই শিলিগুড়ি করিডরের উপর নজর রাখার জন্য ভুটানে তোর্সা নদীর সমান্তরাল একটি রাস্তা তৈরির কাজ চিন শুরু করেছে বলে খবর৷
আসলে প্রতিবেশী ছোট ছোট দেশগুলির সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ নিয়ে করা সমস্ত চুক্তিই নিজেদের শর্ত অনুযায়ী করেছে চিন৷ ভুটানি সংবাদপত্র 'দ্য ভুটানিজ'-এর সম্পাদক তেনজিং লামসাং ট্যুইটারে দাবি করেছেন, পূর্ব ভুটানে চিনের সঙ্গে তাঁদের কোনও বিবাদই নেই৷ তিনি লিখেছেন, '১৯৮৪ সাল থেকে চিনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে ২৪টি বৈঠকে শুধুমাত্র দু’টো এলাকা নিয়েই বিবাদের নিষ্পত্তি হয়নি৷ তার মধ্যে ভুটানের পশ্চিম অংশে ২৬৯ বর্গ কিলোমিটার এবং উত্তরমধ্য ভুটানের ৪৯৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা রয়েছে৷ প্রতিটি বৈঠকের সিদ্ধান্তেই দু'পক্ষ সই করেছে৷ কোনও বৈঠকেই ভুটানের পূর্ব অংশ নিয়ে কোনও দাবি তোলেনি চিন৷ ফলে পূর্ব ভুটানে চিনের সঙ্গে কোনও সীমান্ত বিবাদ থাকতে পারে না বলেই দাবি করেছেন ভুটানের ওই সংবাদপত্রের সম্পাদক৷
কয়েকদিন আগেই লাদাখে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নাম না করেই চিনকে বিস্তারবাদী বলে কটাক্ষ করেছিলেন৷ তার জবাবে চিনা দূতাবাস দাবি করে, বেজিংকে বিস্তারবাদী বলে অভিযুক্ত করা ঠিক নয়৷ কারণ ১৪টির মধ্যে ১২টি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেই শান্তিপূর্ণ ভাবে সীমান্ত বিবাদ মিটিয়ে ফেলেছে চিন৷