শ্রিংলা জানিয়েছেন, এই ধরনের সীমান্ত সমস্যা একেবারেই অভূতপূর্ব। ১৯৬২ সালের পর থেকে এমন পরিস্থিতি আর কখনই তৈরি হয়নি। আমরা প্রথম চিন সীমান্তে আমাদের দেশের বীর সেনাদের জীবন হারিয়েছি। এমন মৃত্যুর ঘটনা শেষ ৪০ বছরে ঘটেনি। ndian Council of World Affairs–এর সভায় এই মন্তব্য করেন শ্রিংলা। তিনি এই সংগঠনের আয়োজনে একটি ওয়েবিনারে অংশ নিয়েছিলেন। সেখানেই এরপর আসে বাণিজ্যের প্রসঙ্গ। ইতিমধ্যে দুই ধাপে বেশ কয়েকটি চিনা অ্যাপ ব্যান করেছে ভারত। সেখানে অবশ্য বলা হয়েছে, সীমান্ত সমস্যা নয়, একেবারে নিরাপত্তার খাতিরেই এই অ্যাপ ব্যান করা হয়েছে। কিন্তু চিনের সঙ্গে যে আগের মতো বাণিজ্য সম্পর্ক রাখা আর ভারতের পক্ষে সম্ভব নয়, সেকথা এ দিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন শ্রিংলা। তিনি বলেছেন, ‘ভারত কিছুতেই আগের মতো চিনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক রাখতে পারবে না। সীমান্ত এলাকায় যতক্ষণ না শান্তি ফিরে আসছে, ততক্ষণ এই বাণিজ্য সম্পর্ক রাখা অসম্ভব। সীমান্তে যদি শান্তি না থাকে, তাহলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে তার আঁচ পড়াটা স্বাভাবিক।
advertisement
ভারতের কথা বলতে গিয়ে শ্রিংলা বলেন, ‘ভারত তাঁর সার্বভৌমত্ব রক্ষার বিষয়ে কোনওরকম আপস করবে না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে ভারত আগ্রাসী মনোভাব নেবে। বরং ভারত একটি দায়িত্ববান দেশের মতোই চাইছে কথা বলে পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে। এই একই সুরে কথা বলেছেন, বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা নিশ্চিতভাবে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমেই আসবে, এবং খুব দ্রুত আসবে। তিনি আবেদন করেন, সীমান্তের দুই পারের দেশই যেন স্থিতাবস্থা লঙ্ঘন না করে। ৩১ অগাস্ট ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকেও বলা হয়, চিনের পিএলএ সীমান্তে উত্তেজক গতিবিধি বজায় রেখেছে। প্যাংগং লেকের অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়েছে বলেও খবর পাওয়া যায়। আর সেই কারণেই বারবার সীমান্তে শান্তি ভঙ্গের দায় চাপছে চিনের উপরেই। যদিও তার উত্তরে চিন আলাদা করে কিছু বলেনি।