advertisement
প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারের উদ্দেশে মনমোহন সিং বিবৃতিতে বলেন, 'দেশের নিরাপত্তা এবং অখণ্ডতার স্বার্থে কর্নেল সন্তোষ বাবু এবং অন্যান্য জওয়ানরা যে চূড়ান্ত আত্মবলিদান দিয়েছেন, তা যাতে বৃথা না যায়, সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে৷' এর পাল্টা জবাব দিয়ে নাড্ডা বলেন, 'মনমোহন সিং সেই দলেরই অংশ যারা অসহায় ভাবে দেশের ৪৩ হাজার কিলোমিটার এলাকা চিনের হাতে তুলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে৷ ইউপিএ আমলে ন্যূনতম প্রতিরোধের পথে না হেঁটে এবং কৌশলগত পরাজয় স্বীকার করে ভারতীয় ভূখণ্ড চিনের কাছে সমর্পণ ঘটনা ঘটেছে৷ বার বার আমাদের বাহিনীকে ছোট করা হয়েছে৷'
বিজেপি সভাপতি আরও লেখেন, 'প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও চিনের এই কৌশল নিয়ে মনমোহন সিং এতটাই উদ্বিগ্ন হলে ভাল হত৷ তাহলে তাঁকে চরম অসহায় ভাবে কয়কশো বর্গফুট জমি চিনের হাতে তুলে দিতে হত না৷ তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন ২০১০ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত তাঁর আমলে ছ'শোরও বেশি বার চিনা সেনা ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছিল৷'
এখানেই থামেননি বিজেপি সভাপতি৷ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে তিনি আরও লেখেন, 'বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর পাণ্ডিত্য নিশ্চয়ই সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন মনমোহন সিং৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দফতরের দায়িত্ব নিয়ে কিছু না বললেই ভাল৷ ইউপিএ আমলে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের গরিমা ক্ষুণ্ণ করাটাই রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছিল, তার সঙ্গে যোগ হয়েছিল সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি অসম্মান দেখানো৷ এনডিএ আমলে সেটাই বদলে গিয়েছে৷'
সবশেষে তিনি লেখেন, 'প্রিয় মনমোহন সিং এবং কংগ্রেস পার্টি, বার বার আমাদের বাহিনীর ক্ষমতা এবং সাহস নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাদের অপমান করাটা বন্ধ করুন৷ এয়ার স্ট্রাইক এবং সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরেও আপনারা এটাই করেছিলেন৷ জাতীয় সংহতির প্রকৃত অর্থ বোঝার চেষ্টা করুন, বিশেষত এমন সময়ে৷ নিজেদের বদলানোর জন্য এখনও খুব দেরি হয়নি৷'
গত ১৫ জুন লাদাখ সীমান্তে চিন এবং ভারতীয় সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের পর এ দিনই প্রথম তা নিয়ে মুখ খোলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং৷ তিনি অভিযোগ করেন, এপ্রিল মাস থেকেই লাগাতার ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করে হামলা চালিয়েছে চিনা সেনা৷ কংগ্রেসও সরকারের কাছে জানতে চায়, লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ডের কোনও অংশ চিনা সেনা দখল করেছে কি না৷ যদিও গত শুক্রবার সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেন, ভারতীয় ভূখণ্ডের কোনও অংশ বা সেনা পোস্ট দখল করতে পারেনি চিন৷