এখানেই না থেমে সেনাপ্রধান জানিয়ে দেন নিজেদের শহিদদের বলিদান ভারত ব্যর্থ হতে দেবে না। আজপর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে সামরিক স্তরে আটবার আলোচনা হলেও কোনও সুরাহা বেরোয়নি। কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক বেকার প্রমাণিত হয়েছে বারবার। বিশেষজ্ঞদের ধারণা এই লোক দেখানো বৈঠক করে চিন সময় বাড়িয়ে যাওয়া ছাড়া আর কিছুই করছে না। তাঁরা ভাল মত জানে অত উচ্চতায়, এই প্রবল ঠান্ডায় প্রতিদিন এত সেনা রাখার পেছনে প্রচুর টাকা খরচ হচ্ছে ভারতের। তাই যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব দেখিয়ে স্রেফ ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে ভারতীয় অর্থনীতিকে আঘাত করছে তাঁরা।
advertisement
পশ্চিম সীমানায় পাকিস্তানকে নিশানা করে সেনাপ্রধান জানিয়েছেন,"পাকিস্তান নিজেদের পরিবর্তন করবে না। এখনও জঙ্গিদের কাছে স্বর্গরাজ্য পাকিস্তান। নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে বিভিন্ন ট্রেনিং ক্যাম্পে কমপক্ষে তিন থেকে চারশো জঙ্গি ভারতে ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছে। বিভিন্ন লঞ্চপ্যাড তৈরি করা থেকে এই জঙ্গিদের সরাসরি সাহায্য করে পাক সেনা। গত বছর সিজ ফায়ার ভাঙার ক্ষেত্রে অতীতের থেকে প্রায় চল্লিশ শতাংশ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে শুধু এখানেই থামছে না পাকিস্তান। ড্রোনের মাধ্যমে এদেশে অস্ত্র পাচার করার চেষ্টায় রয়েছে তাঁরা "।
পাশাপাশি পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানকে প্রত্যেকবার কড়া জবাব দিচ্ছে ভারত এবং আগামীদিনেও দেবে। অতীতের তুলনায় কাশ্মীর সীমান্ত দিয়ে এদেশে জঙ্গি অনুপ্রবেশ অনেক কম হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেন সেনাপ্রধান। তবে ভারতীয় সেনা প্রধানের এই বক্তব্য একটা ব্যাপার দিনের আলোর মত স্পষ্ট। প্রয়োজন হলে সবকিছুর জন্য তৈরি থাকতে হবে ভারতীয় সেনাকে।