জানা গিয়েছে গত মঙ্গলবার রাতে সেই মামলায় পুলিশ সোমনাথকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর বুধবার তাকে হাওড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এদিকে জেল হেফাজতে থাকাকালীন শুক্রবার দুপুরে অসুস্থ হয়ে পড়ে সোমনাথ। তাকে হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
advertisement
অন্যদিকে, সোমনাথের মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা। সোমনাথকে মারধরের ফলে তার মৃত্যু হয়েছে এই অভিযোগে পথ অবরোধ করে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পাঁচলা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রায় ঘন্টাখানেক বিক্ষোভ চলার পর পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ৭ বছর আগে সোমনাথ বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে এক নাবালিকাকে বিয়ে করে। এই ঘটনায় নাবালিকার পরিবার সোমনাথের নামে পাঁচলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। সেইমতো পুলিশ একটি মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। জানা গিয়েছে সেই পুরানো মামলায় সোমনাথ আদালতে হাজিরা দিলেও এবারে সে হাজিরা না দেওয়ায় তার নামে ওয়ারেন্ট জারি হয়।
আরও পড়ুন: বাজারে দেখলে পাশ কাটিয়ে যান! বনে-বাদাড়ে জন্মানো ‘এই’ ফল সর্বরোগহরা, আপনি জানতেন?
মঙ্গলবার রাতে সেই মামলায় পুলিশ সোমনাথকে গ্রেফতার করে নিয় যায়। আর তারপরেই শুক্রবার রাতে সোমনাথের মৃত্যু হয়। সোমনাথের বাবা বিশ্বনাথ সর্দার জানান মঙ্গলবার রাত ১০ টা নাগাদ ৩ জন পুলিশ কর্মী তাঁর ছেলেকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় । তিনি আরও জানান, ‘‘ পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল পরের দিন ছেলে বাড়ি ফিরে আসবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ছেলে বাড়ি ফিরল না।’’
Santu Mallick