TRENDING:

Howrah News: হাওড়ার এই গ্রামের প্রধান দেবী মা মনসা, গঙ্গা দশহরা তিথিতে তাঁর পুজোয় অগণিত ভক্ত সমাগম

Last Updated:

Howrah News: প্রায় দুই শতাব্দী প্রাচীন মা মনসার আরাধনা কেন্দ্র করে হাজার হাজার মানুষ মিলিত হয় হাওড়ার এই গ্রামে! গ্রামের রক্ষাকারী দেবী মা মনসা, যেকোনও শুভ কাজের আগে মা মনসার পুজো দেওয়ার রীতি রয়েছে গ্রামের ৮ থেকে ৮০ বছরের মানুষ ভক্তি ভরে মা মনসার আরাধনা করে

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
রাকেশ মাইতি, হাওড়া: প্রায় দুই শতাব্দী প্রাচীন মা মনসার আরাধনাকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার মানুষ মিলিত হন হাওড়ার এই গ্রামে! গ্রামের রক্ষাকারী দেবী মা মনসা, যে কোনও শুভ কাজের আগে মা মনসার পুজো দেওয়ার রীতি রয়েছে। গ্রামের ৮ থেকে ৮০ বছরের মানুষ ভক্তি ভরে মা মনসার আরাধনা করেন।এখানে বছরভর বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্ত সমাগম ঘটে। সর্বাধিক ভক্ত সমাগম দশহারায়। এদিন জাঁকজমক করে পুজোর আয়োজন হয়ে থাকে।
advertisement

জানা যায়, ১৮৫০ সালে হাওড়ার ডোমজুড় ওয়াদিপুর গ্রামে জাগ্রত মনসা পুজোর সূচনা হয়। সেই থেকে পুঙ্খানুপুং নিয়ম মেনে মা মনসার আরাধনা হচ্ছে গ্রামে। সূচনা লগ্ন থেকে মা মনসার কৃপায় নানা ঘটনার সাক্ষী ওয়াদিপুর গ্রাম-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। দশহারায় সকাল থেকে পুজোয় অগণিত ভক্তর ঢল নামে। গরমের তাপদাহ উপেক্ষা করে পুরুষ মহিলা উভয়ে মায়ের কাছে প্রার্থনা করতে হাজির হয়। পুজোর দিন যত বেলা গড়ায়, তত ভক্তের ভিড় বাড়তে থাকে। পুজোর অর্ঘ্য হাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেন ভক্তরা। মা মনসার আরাধনায় জেলায় শ্রেষ্ঠ ভক্ত সমাগম দেখা যায় ওয়াদিপুর মনসাতলায়।

advertisement

ওয়াদিপুর গ্রামে প্রাচীন মনসা মন্দিরের সামনেই রয়েছে নাটমন্দিরে। তার সামনে শিব মন্দির। পুরনো রীতি মেনে পুজোর দিন শিবলিঙ্গে জল ঢালে অগণিত ভক্ত। সকাল থেকে জল ঢালা পর্ব সেই সঙ্গে মানত করে ভক্তদের দণ্ডি দেওয়া রীতি। শিবের মাথায় জল ঢালতে রীতি মেনে গ্রাম থেকে প্রায় ২০ কিমি দূরত্বে চাঁপাতলা গঙ্গার ঘাট থেকে জল নিয়ে আসে ভক্তরা। এর পর পুজো ধূনাপোড়ানো এবং বলি পর্ব। সকল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন রীতি নীতি মেনে পুজো অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় পুজো শেষে সকল ভক্তদের জন্য ভোগের আয়োজন থাকে। নিষ্ঠা ভক্তি ভরে মানুষ মেতে ওঠে মা মনসার আরাধনায়। যতদিন গড়াচ্ছে ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে ভক্তের সংখ্যা। এখানকার মানুষের কাছে দুর্গাপুজোর থেকেও বেশি আকর্ষণের এই মনসাপুজো। গ্রামের প্রতিটি পরিবারে অভিভাবক সমান মা মনসা।

advertisement

আরও পড়ুন : ‘গৌরহাটি’ থেকে ‘গেরোটি’! আজকের চন্দননগরে অতীতের ফরাসডাঙার স্মৃতি নিয়ে বসে আছে পরিত্যক্ত এই থানা

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

পার্শ্ববর্তী কেশবপুর ,রুদ্রপুর, গঙ্গাধরপুর, গোণ্ডলপাড়া, জুজারসাহা-সহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে অগণিত মানুষ দশহরার বিশেষ পুজো দিতে আসেন। সারা বছরে বাড়ির শুভ কাজ এবং বিভিন্ন সময় পুজো দিয়ে থাকেন। মন্দিরে পুরোহিত ছাড়াও প্রায় আড়াইশো সেবায়েত পরিবার রয়েছে। বছরভর বিশেষ দিনগুলিতে জাঁকজমক করে পুজোর আয়োজন এবং নিত্যদিন সকাল সন্ধ্যা পুজো হয়।এ প্রসঙ্গে মন্দিরে আসা ভক্ত ও সেবায়েতগণ জানান, ‘‘এখানে মা মনসা জাগ্রত। ভক্তি ভরে ডাকলে মা ইচ্ছে পূরণ করে ভক্তের।’’

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/হাওড়া/
Howrah News: হাওড়ার এই গ্রামের প্রধান দেবী মা মনসা, গঙ্গা দশহরা তিথিতে তাঁর পুজোয় অগণিত ভক্ত সমাগম
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল