সবে দেড় বছর বয়স হয়েছে ভ্রাজিষ্ণুর। এর মধ্যেই তার মনে রাখার ক্ষমতা সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। চুঁচুড়া কাপাসডাঙ্গা কলোনির বাসিন্দা দিলীপ ভট্টাচার্য ও তাঁর স্ত্রী কাকলির একমাত্র পুত্র ভ্রাজিষ্ণু। বাবা দিলীপ পেশায় ঘুড়ি ব্যবসায়ী।আর তাদেরই খুদে শিশু অবলীলায় মনে রাখতে পারে প্রায় ২০০০ বেশি ছবি। তার এই স্মরণশক্তি দেখে এপ্রিল মাসে তার মা কাকলি ভট্টাচার্যগুগুল ঘেঁটে যোগাযোগ করেন ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস এর সংস্থায়। তিনি জানান “ছেলের এমন মনে রাখার ক্ষমতা জানিয়ে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড’সে পরিবারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। সেখান থেকে ছোট ভ্রাজিষ্ণু’র বেশ কয়েকটি ভিডিও ই-মেল করতে বলা হয়। আর তার মাত্র মাস দেড়েকের মধ্যেই বাড়িতে পৌঁছায় ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড’সের স্বীকৃতি”।
advertisement
এদিন তার বাড়িতে গেলে দেখা যায় বাড়ির দেওয়াল জুড়ে বিভিন্ন ফল ফুল, পশুপাখি, বিভিন্ন দেশের পতাকা,মহাকাশ সম্পর্কিত ছবি । এছাড়াও বিভিন্ন গণপরিবহন, কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ র ছবিও রয়েছে। ছোট্ট ভ্রাজিষ্ণু , যার এখনো মুখে ভালো করে কথা ফোটেনি তাকে বিভিন্ন ছবির সামনে দাঁড়িয়ে যেই তার মা জিজ্ঞাসা করছে সঙ্গে সঙ্গে নির্ভুল ভাবে তার আঙ্গুল ছুঁয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। তার মা আরো জানান, "মাত্র দেড় মাস বয়স থেকেই ভ্রাজিষ্ণুর এরকম প্রতিভা দেখা যায়। বিশেষ করে ওর মহাকাশ সম্পর্কিত ছবিগুলো খুব আকর্ষণ করে। আমি তাই ভেবে রেখেছি ভবিষ্যতে ওকে মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করাবো।" বাবা দিলীপ পরম বৈষ্ণব। আবার মা কাকলি শিবের ভক্ত। তাঁদের দুজনের আরাধ্য দেবতার মেলবন্ধন ঘটানো হয়েছে পুত্রের নামকরণ দিয়ে। বাংলায় অনার্স পাস কাকলি পুত্রের নামকরণ করেন ভৈরব এবং বিষ্ণু কে মিলিয়ে ভ্রাজিষ্ণু। এই ভ্রাজিষ্ণু কে নিয়েই এখন মেতে পাড়াপ্রতিবেশীরা।
Rahi Haldar