কথিত আছে এখানে ধর্মদাস ঠাকুরের নির্দেশে প্রায় ৭০০ বছর ধরে এই রথে মেলা হয়ে আসছে। কেবলমাত্র গোঘাট নয় বাঁকুড়া মেদিনীপুর এবং বর্ধমান থেকে বহু মানুষ রথের রশিতে টান দিতে আসেন এবং মনস্কামনা পূরণের জন্য। রথ উপলক্ষে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। ফের এক সপ্তাহ বাদেই রথটিকে ফেরত আনা হয় যা উল্টো রথ নামে পরিচিতি।
advertisement
আরও পড়ুন: চন্দননগরে বেজে গেল পুজোর ঘণ্টা! বিজয়ার বিষণ্ণতার মাঝেই উৎসব শুরু দেবী হৈমন্তিকার
রাবন বধের পর এই রথ টান হয় বলে এলাকায় এই রথ রাবণ কাটারথ নামেই পরিচিত। এই রত উপলক্ষে বসে বিরাট মেলায়। মেলায় বিক্রি হচ্ছে হাতের বাঁশের কাঠের ঝুড়ি থেকে পেতে এবং কুলো। পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ার বিক্রিতারা বাঁশের বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তৈরি করে এই রথে বিক্রয় করতে আসেন তারা। রথ দেকা কলা বেচা একসঙ্গেই চলে। টানা সাত দিন চলবে এই মেলা।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি প্রতিরোধে চলছে জোরদার প্রচার, আর পঞ্চায়েত ভবনের সামনেই মশার আঁতুড়ঘর!
গোঘাটের রায় পরিবারের হাত ধরে এই রথের সূচনা হয়। রায় পরিবারের পূর্বপুরুষরা বেশিরভাগে কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এক সাধু ওই পূর্বপুরুষকে বলেন কচ্ছপের তেল মাখলে কুষ্ঠ রোগ সেরে যাবে। পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় একটি পুকুর থেকে কচ্ছপ তোলে। সেই রাতেই স্বরূপ জিউ স্বপ্ন দিয়ে বলেন এই পুকুরে তিনি কচ্ছ রূপে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। তাকে পুজো করতে হবে তাহলেই রায় বংশের আর কেউ কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হবে না।
স্বরূপ জিউ নামে স্বয়ং রাম ছিলেন। বিজয় দশমীর দিন রাম রাবণকে বধ করেছিলেন। রাবণকে বধ করে রথে করে তিনি এসেছিলেন। স্বরূপ নারায়ণ দশমীর দিন স্বপ্নদেশ দিয়েছিলেন সেদিনই রথ টানা হয়। জনতার বিজয় রথ আদতে “রাবণ কাটা রথ” নামেই পরিচিতি।
Suvojit Ghosh