কার্নিভালের আকারে হয়ে আসছে হুগলির চুঁচুড়ার ঐতিহ্যবাহী সরস্বতী শোভাযাত্রা। মূলত শিল্পীদের কাজের পরিসরের অগ্রগতি ঘটানোর জন্যই এই প্রয়াস বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সরস্বতীর শোভাযাত্রা দেখার জন্য বহু মানুষের ভিড় জমে রাস্তার দু'ধারে। উৎসবে মাতোয়ারা বাঙালি সরস্বতী পূজার শোভাযাত্রা দেখতে গেলে আসতে হবে হুগলির সদর শহর চুঁচুড়ায়।
আরও পড়ুনঃ মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধুদের সঙ্গে ছিল সুজয়, বাড়ি ফিরে রহস্যমৃত্যু! তোলপাড় শান্তিপুর
advertisement
মোবাইল ইন্টারনেটের যুগে খানিকটা পিছিয়ে পড়েছে চুঁচুড়ার ঐতিহ্যপূর্ণ সরস্বতী শোভাযাত্রা। আগে একটা সময় এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করত পঞ্চাশের বেশি পুজো উদ্যোক্তারা। বর্তমানে তা কমতে কমতে এসে দাঁড়িয়েছে কুড়িটিতে। এই বছর শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছে মাত্র কুড়িটি পুজো কমিটি। তবে সরস্বতী বিসর্জন দেখার জন্য স্থানীয় মানুষদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। রাস্তার দু'ধারে বহু মানুষের জমায়েত হয় এ দিন সন্ধ্যায়। প্রতিটি পুজো কমিটি সুসজ্জিত ট্যাবলো ও আলোকসজ্জা নিয়ে রাস্তায় বের হয়। সন্ধ্যে থেকে শুরু করে মধ্যরাত্তির পর্যন্ত চলে শোভাযাত্রা প্রতিযোগিতা।
আরও পড়ুনঃ আগামী ২৪ ঘণ্টা কেমন থাকবে পুরুলিয়ার আবহাওয়া? জানুন হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা তরুণ কুমার ঘোষ বলেন, কী ভাবে এই সরস্বতী শোভাযাত্রার সূচনা হয়েছে তা হয়তো কারও জানা নেই। তিনি জন্ম থেকেই দেখছেন সরস্বতীর শোভযাত্রা। মূলত, চন্দননগর, চুঁচুড়া, ব্যান্ডেলে হস্তশিল্পীদের এক বড় অংশের বসবাস। সরস্বতী পুজোতে নিজেদের হাতে বানানো ট্যাবলো মানুষের সামনে নিয়ে এসে নিজেদের কাজের প্রদর্শন করেন শিল্পীরা। এই শোভাযাত্রা থেকে অনেক শিল্পীদেরই পরবর্তী কাজের বায়না আসে। বর্তমান প্রজন্ম শোভাযাত্রা থেকে অনেক পিছিয়ে পড়ছে। যদি কোনওরকম সহায়তা মেলে তাহলে আগামী দিনে আরও উজ্জীবিত করা যাবে।
Rahi Haldar