এই ব্যান্ডের সবথেকে ছোট সদস্য আরুশি। সে ক্লাস সেভেনের ছাত্রী। তার জন্ম আমেরিকায়। সেখানেই ড্রামে হাতেখড়ি। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াকালীন চন্দননগরে ফিরে আসে। বর্তমানে সেন্ট জোসেফ স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
দ্বিতীয়জন লাল বাগান বালিকা বিদ্যালয়ের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বিদিশা গায়েন। সে এই ব্যান্ডের বেস গিটারিস্ট। ব্যান্ড তার ধ্যান-জ্ঞান হলেও পড়াশোনাতেও যথেষ্ট দক্ষ বিদিশা। তৃতীয়জন হল শাস্ত্রীয় সঙ্গীত পারদর্শী তিতির চক্রবর্তী। কলেজ পড়ুয়া তিতির ছোট থেকে হারমোনিয়াম, তবলার সঙ্গে বেড়ে উঠলেও এখন দিব্যি গিটার, ড্রামসের দুনিয়ায় নিজেকে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। সে ব্যান্ডের ভোকালিস্ট।
advertisement
আরও পড়ুন: মোষের গাড়িতে করে কয়লা পাচারের চেষ্টা, শেষ মুহূর্তে হাজির হয়ে ছক ভেস্তে দিল পুলিশ
চতুর্থ ঋতু অধিকারী ব্যান্ডের লিড গিটারিস্ট। গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে একটি বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত। ছোট থেকেই গিটার বাজানো তার নেশা। ঋতুর বাড়ির অনেকেই গান-বাজনার সঙ্গে যুক্ত। তবে এইভাবে ব্যান্ড তৈরি করে স্টেজ পারফরম্যান্স করবে তা সে কখনোই কল্পনাও করনি। তবে বাস্তবে তাদের পারফরম্যান্স অনুপ্রাণিত করছে অন্যান্য মেয়েদের।
পঞ্চম এবং এই দলের ব্যান্ডের খুঁটি অর্পিতা। ছোট থেকে গান করতে ভালবাসত। সঙ্গে তার ভালোবাসা গিটার। এখন সে এই ব্যান্ডের গিটারিস্ট ও ভোকালিস্ট। সেইসঙ্গে সাউন্ড ডিজাইন করার শখও আছে অর্পিতার।
এই পঞ্চকন্যার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পেছনে মূল কাণ্ডারী হলেন শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি। তিনি ব্যান্ডের সবচেয়ে ছোট সদস্য আরুশির মা। আমেরিকা থেকে এসে উদ্যোগ নিয়ে এই ব্যান্ডটি তৈরি করেন। এখন প্রায়শই হুগলির বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চে ডাক পড়ছে লাইটিং স্টারের। জেলা এবং জেলার বাইরেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইছে তারা। মহিনের ঘোড়াগুলি থেকে লালনের গান, সর্বত্রই তাদের অবাধ যাতায়াত।
রাহী হালদার