স্থানীয় সূত্রে খবর, ১৯৬৭ সালে রিষড়ার পশ্চিম রেলপাড়ের মোড় পুকুরের কে সি সেন স্ট্রিটের একটি বাড়িতে স্থানীয় মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার জন্য এই সেবা সদনের পথ চলা শুরু হয়। তা অচিরেই এলাকার প্রধান স্বাস্থ্য কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। হুগলির আশপাশের এলাকা থেকেও বহু মানুষ এসে এখানে চিকিৎসা করাতে আসতেন। বিশেষ করে এখানকার চক্ষু বিভাগ ছিল বেশ জনপ্রিয়। তৎকালীন সময়ে হাজার হাজার মানুষ এখান চোখের চিকিৎসা করিয়েছেন। প্রবাদ প্রতিম চক্ষু বিশেষজ্ঞ রঞ্জিত সরকার রিষড়া সেবা সদনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন। দীর্ঘ ৪০ বছর এই হাসপাতালটি সুনামের সঙ্গে রোগীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে ক্রমশই হাসপাতালটি দুর্বল হতে শুরু করে। পরে একসময় বন্ধ হয়ে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: স্কুলের ছাদে ড্রাগন ফল ফলিয়ে চমকে দিয়েছে পড়ুয়ারা
রিষড়া সেবা সদন ট্রাস্টি বোর্ড পরিচালিত হাসপাতাল ছিল। যার জন্য এটি খোলার ব্যাপারে বেশ কিছু আইনি জটিলতা ছিল। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে ২০১৮ সালে সব জটিলতা দূর হয়। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এটি অধিগ্রহণ করে। তারাই অবশেষে নতুন করে আবার হাসপাতালটি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুক্রবার উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের একটি দল হাসপাতাল ভবন পরিদর্শন করেন। এই ব্যাপারে জেলার উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক টি মুস্তাফি জানান, এই সেবাসদন পুরোপুরি সরকারি হাসপাতালহি সেবে ফের আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। প্রথম পর্যায়ে ৫০ টি বেড সহ আধুনিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এখানে থাকবে। পরবর্তীতে রোগীদের চাহিদার উপর নির্ভর করে হাসপাতালে পরিষেবা আরও বাড়ানো হবে। এই হাসপাতাল পরিচালন ভার থাকবে রিষড়া পুরসভার উপর।
রিষড়ার পুরপ্রধান বিজয় সাগর মিশ্র জানান, কিছু আইনি জটিলতার কারণে এতদিন এই হাসপাতাল বন্ধ ছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এবং সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের প্রচেষ্টায় আবার এটি চালু হতে চলেছে।
রাহী হালদার