আরও পড়ুন: ডিভিসি-এর ছাড়া জলের তোড়ে ভেসে গেল মুণ্ডেশ্বরীর বাঁশের সাঁকো, দুই জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
হুগলির খানাকুল-২ ব্লকের মারোখানা পঞ্চায়েতের পানশিউলি এলাকায় রাতভর বৃষ্টি হয়েছে। এরফলে রূপনারায়ণের পাড়ের এই গ্রামে তীব্র আকার ধারণ করেছে বন্যার ভয়। সতর্কতা হিসেবে গ্রামবাসীরা আগেভাগেই জ্বালানি ও শুকনো খাবার মজুত করতে শুরু করেছেন। খানাকুলের এই এলাকা বন্যা কবলিত হওয়ার কারণে প্রতি বছরই ডিভিসি জল ছাড়ার পর বাড়িঘর ডুবে যায়।
advertisement
উল্লেখ্য, দ্বারকেশ্বর, মুণ্ডেশ্বরী ও রূপনারায়ণে ডিভিসির ১ লক্ষ ৩৫ হাজার কিউসেকের জল ছাড়ার হয়ছে। এই জল নদীতে এসে পৌঁছলে ঘরবাড়ি ভাসার আশঙ্কা। রূপনারায়ণ নদের জল যেভাবে বাড়ছে তাতে যে কোনও মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা।ইতিমধ্যেই ডিভিসি বিভিন্ন জলাধার থেকে এক লক্ষ কিউসেকের বেশি জল ছেড়েছে। ফলে হুগলির গোঘাট, খানাকুল ও আরামবাগে বন্যার আশঙ্কা তীব্র হয়েছে।
এই বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছরই বন্যা হয় এলাকায়। একটানা নিম্নচাপে জেরে এবং ডিভিসির জল ছাড়ার পরই দুশ্চিন্তায় দিন কাটাতে হচ্ছে প্রত্যেককে। রূপনারায়ণের জল যত ফুলে ফেঁপে উঠছে ততটাই আশঙ্কা বাড়ছে। তাই তাঁরা আগেভাগে শুকনো খাবার এবং জ্বালানি সংগ্রহ করে রাখছেন।
শুভজিৎ ঘোষ





