আরও পড়ুনঃ ফল হাতেনাতে! নিমেষেই গায়েব ‘ব্যথা’! বাড়ির পাশের ‘এই’ গাছের পাতাই গাঁটের ‘প্রতিরোধী’
সৌম্য ও গার্গী যোগাযোগ করেন চুঁচুড়া আলোয় ফেরা সংঘের সঙ্গে। সেখানেই তাঁরা নতুন জীবনের শুরুয়াতের প্রথম দিনেই দুজনে অঙ্গীকারবদ্ধ হন তাঁদের মরণোত্তর চক্ষুদানের জন্য। একদিকে যখন রিসেপশনের লোকের কোলাহল ভিড়, এরই মধ্যে আলোয় ফেরা সম্পাদকের সামনে দুই নব দম্পতি বসে ফর্ম ফিলাপ করলেন মরণোত্তর চক্ষু দানের।
advertisement
এই বিষয়ে সৌম্য ও গার্গী দুজনে জানায়, ‘চোখের জন্য বহু মানুষ হাহাকার করেন। কারণ যাদের চোখের সমস্যা হয় বা চোখ প্রয়োজন হয় অন্ধত্ব দূরীকরণ করতে তাঁদের কথা ভেবেই এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তাঁরা দুজন।’ সৌম্য ও গার্গী দুজনের ইচ্ছা তাঁদের মৃত্যুর পর তাঁদের চোখ দিয়ে যেন রঙিন পৃথিবীতে দেখতে পায় অন্য মানুষরা। এই বিষয়ে আরও সৌম্য জানায় তাঁরা আশাবাদী যে তাঁদের দেখে আরও অনেক যুবসমাজের নবদম্পতিরা এগিয়ে আসবে মরণোত্তর চক্ষুদানের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ হতে।
এই বিষয়ে চুঁচুড়া আলোয় ফেরার সম্পাদক উদয় কুমার পাল তিনি বলেন, নবদম্পতির এই পদক্ষেপকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন তাঁরা। যেভাবে বিয়ের দিনে নতুন জীবন শুরু করার আগেই মরণোত্তর চক্ষুদানের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে তারা যে কাজটি করেছেন তিনি আশাবাদী এতে আগামী প্রজন্মের যুবক যুবতীরা উদ্বুদ্ধ হবে।
রাহী হালদার