টাটানগর জামশেদপুরের ওই বৃদ্ধা বাড়ি থেকে নিজের জামা কাপড় নিয়ে গত ২৫ তারিখ নিখোঁজ হয়ে যান। এভাবেই তিনি এসে পৌঁছন হুগলির ব্যান্ডেলে। সেখানে কিছু যুবক ওই বৃদ্ধাকে দেখে বুঝতে পারেন তিনি কোনও বিপদে পড়েছেন। তাঁকে নিয়ে আসা হয় চুঁচুড়ার আরোগ্যতে। কিন্তু তাঁর ইশারা বুঝতে না পারায় প্রাথমিকভাবে সমস্যায় পড়তে হয়। এদিকে লেখাপড়া না জানায় তিনি লিখেও বোঝাতে পারছিলেন না কিছু। এরপর এমন মানুষদের ইশারা বোঝায় দক্ষ বিশেষজ্ঞকে ডেকে পাঠানো হয়। আর তাতেই মেলে সাফল্য। সকালে বুঝতে পারেন ওই বৃদ্ধা বলছেন, তিনি বাড়ি ফিরতে চান। সঙ্গে যা কিছু ছিল সব খোয়া গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বৃষ্টি পড়তেই ভাঙন আতঙ্ক মুর্শিদাবাদে, প্রাণ বাঁচাতে গ্রাম ছাড়ছে মানুষ
কিন্তু বাড়ি কে ফেরাবে তাঁকে! কারণ ওই মহিলা কিছুতেই বলতে পারছিলেন না তাঁর বাড়ি কোথায়। অবশেষে তাঁর ব্যাগের মধ্যে থাকা একটি ছোট্ট পুঁটলির গায়ে লেখা দেখে অনুমান করা হয় তাঁর বাড়ি জামশেদপুরে। যোগাযোগ করা হয় জামশেদপুরের একটি এনজিওর সঙ্গে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয় মহিলার ছবি। বিদ্যুৎ গতিতে সেই পোস্ট ভাইরাল হয়। তা চোখে পড়ে ওই বৃদ্ধার পরিজনদের। অবশেষে জামশেদপুর থেকে চুঁচুড়ায় যোগাযোগ করেন ওই বৃদ্ধার পরিবারের লোকজন।
বুধবার চুঁচুড়ার আরোগ্যতে এসে ওই বৃদ্ধাকে বাড়ি নিয়ে যান তাঁর পরিবারের লোকজন। এই বিষয়ে আরোগ্যর কর্ণধার ইন্দ্রজিত দত্ত জানান, এর আগেও অনেককে তাঁরা বাড়ি ফিরিয়েছেন। তবে এইবারের বিষয়টি সম্পূর্ণ অন্যরকম ছিল। প্রত্যেক পদক্ষেপের নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসছিল তাঁদের সামনে। যেহেতু মহিলা কথা বলতে বা লিখতে জানেন না সেই কারণে তাঁর সম্বন্ধে বোঝা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছিল। অবশেষে মহিলাকে তাঁর বাড়ি ফেরাতে পেরে খুশি সকলেই।
রাহী হালদার