কথিত আছে, অসুররাজ শুম্ভ এবং নিশুম্ভের প্রধান দুই সেনানায়ক ছিলেন ‘চণ্ড’ ও ‘মুণ্ড’। এই দুই ভয়ঙ্কর অসুরকে বধ করার জন্য দেবী চামুণ্ডা রূপ ধারণ করেন। ওষুধের বধ করার পর দেবীকে সন্তুষ্ট করতে ১০৮ প্রদীপ দিয়ে বোধন করা হয়। সেই থেকেই এই রীতি বলে জানা যায়। পুরাণ অনুসারে, অষ্টমী তিথি ও নবমী তিথির মিলনকালে মা দুর্গা আবির্ভূতা হন চামুণ্ডা রূপে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ভদ্রকালী প্রগতি সংঘের এই বছরের পূজোর থিম 'মা আসছেন মাটির টানে'
অন্যদিকে কৃত্তিবাসী রামায়ণ অনুসারে, পরম শক্তিশালী রাবণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করার জন্য মা দুর্গাকে শরৎকালে আশ্বিনমাসে আবাহন করেছিলেন রামচন্দ্র। রামচন্দ্র দেবীর পুজোর জন্য ১০৮টি পদ্ম আনতে বলেন হনুমানকে। হনুমান ১০৭টি পদ্ম আনতে সক্ষম হন। একটি পদ্ম মায়ার খেলায় অদৃশ্য হয়। একটি পদ্মের অভাব দেখা দিলে রামচন্দ্র তাঁর পদ্মের সমান একটি চক্ষু দান করতে উদ্যত হন।
আরও পড়ুনঃ দুর্গাপূজোয় মন্ডপ দেখতে বেরিয়ে আপনি পৌঁছে যেতে পারেন বেনারস!
সেইসময় মা দুর্গা উদিত হন রামচন্দ্রের সামনে। তিনি রামচন্দ্রকে আশীর্বাদ করেন। ষষ্ঠী তিথিতে রামচন্দ্র মা দুর্গার পুজো শুরু করেছিলেন। অষ্টমী ও নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে রামচন্দ্র অস্ত্রলাভ করেন। অনেকের মতে এই কারণেও সন্ধিপুজোয় ১০৮টি পদ্ম নিবেদনের রীতি প্রচলিত হয়েছে।
Rahi Haldar