TRENDING:

Hooghly: ঈশ্বর কণা গবেষণার যন্ত্রাংশ তৈরি করে জীবিত বিশ্বকর্মা উপাধি

Last Updated:

কারিগর-শিল্পী ও নির্মাতাদের দেবতা বিশ্বকর্মা। তাই কারিগরি বিদ্যার সমস্ত কলেজ গুলোতে বিশ্বকর্মা পূজিত হন ঈশ্বর রূপে। পদার্থ বিদ্যায় একটি পরমাণুর থেকেও ছোট কনার নাম ঈশ্বর কণা বা কোয়ান্টাম মেটিরিয়াল।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
হুগলি: কারিগর-শিল্পী ও নির্মাতাদের দেবতা বিশ্বকর্মা। তাই কারিগরি বিদ্যার সমস্ত কলেজ গুলোতে বিশ্বকর্মা পূজিত হন ঈশ্বর রূপে। পদার্থ বিদ্যায় একটি পরমাণুর থেকেও ছোট কনার নাম ঈশ্বর কণা বা কোয়ান্টাম মেটিরিয়াল। আর এই ঈশ্বর কণা গবেষণার যন্ত্রাংশ তৈরি করে জীবিত বিশ্বকর্মা উপাধি পেলেন হুগলির কালীপদ প্রামানিক৷ রবিবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে কালীপদবাবুকে জীবিত বিশ্বকর্মা উপাধি প্রদান করে রাজ্য সরকার৷ ষাটোর্ধ্ব কালিপদ প্রামানিক হুগলির ডানকুনির বাসিন্দা। কর্মজীবনে তিঁনি ছিলেন হাওড়ার একটি বেসরকারি সংস্থার প্রধান কারিগর৷ আজ থেকে ২০ বছর আগে ওই কোম্পানিতে একটি বিদেশি বৈজ্ঞানিক কোম্পানির অর্ডার আসে। ঈশ্বরকণার ইতিহাস জানার জন্য একটি টানেল তৈরির। এবং সেই কাজের দায়িত্ব ভার এসে পড়ে কালিপদ বাবুর উপর। বিজ্ঞানের জগতের সবথেকে অজানা বিষয়ের গবেষণার জন্য ব্যবহৃত ও যন্ত্রাংশ তৈরি হয় কালিপদ বাবুর হাতেই। তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আয়োজিত শ্রমিক দিবস অনুষ্ঠানের মঞ্চে কালিপদ প্রামাণিককে জীবিত বিশ্বকর্মা উপাধি প্রদান করা হলো রাজ্য সরকারের তরফে। তার সঙ্গে দেওয়া হল দু লক্ষ টাকার একটি চেক। জীবিত বিশ্বকর্মা উপাধিতে সন্মানিত হওয়ার পর খুশির হওয়ায় ডানকুনির প্রামানিক বাড়িতে। পুরস্কার পাওয়ার পর কালিপদ প্রামানিক জানান, হাওড়ার ওই বেসরকারি সংস্থায় তিনি ব্যায় করেছেন তার অধিকাংশ কর্মজীবন। কর্মজীবনের মাঝ সময়ে ওই কোম্পানিতে একটি টানেল বানানোর অর্ডার আসে। তখনো তিনি জানতেন না সেটি পদার্থবিদ্যার অজানা একটি শাখা উন্মোচনের গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হবে। ওই সংস্থার হেড মিস্ত্রি হওয়ার দরুন সমস্ত কর্ম ভার এসে পড়ে তার উপর। মাত্র তিন মাস সময় ছিল হাতে ওই প্রজেক্ট তৈরি করে বিদেশী গবেষকদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। কালীপদ বাবু আরও বলেন, সাহেবরা একটা খসরা চিত্র দিয়ে গিয়েছিলো। সেটি থেকে নিখুঁত ভাবে ওই টানেলটি তৈরি করতে হয়েছে। প্রজেক্টটি চলাকালীন সময় বহু বার সাহেবরা কাজের পর্যবেক্ষণ করতে আসতেন। টানা তিন মাস অক্লান্ত পরিশ্রম করে সঠিক সময়ে গবেষণার কাজে ব্যবহৃত ওই টার্নেলটির কাজ শেষ করেছিলাম। কালিপদ বাবুর ছেলে শশাঙ্ক প্রামানিক এ বিষয়ে বলেন, খুবই গর্বের বিষয় বাবা তার কর্মজীবনের এত বছর পরেও তার কর্মফল পাচ্ছেন। আমরা রাজ্য সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ কারণ রাজ্য সরকার তার বাবার মতন মানুষের কাজকে কাজের প্রায় কুড়ি বছর পরেও সম্মানিত করলেন।
এ যুগের বিশ্বকর্মা
এ যুগের বিশ্বকর্মা
advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
দেখলে মনে হবে লাড্ডু ,মোদক কিংবা রসমালাই, কিন্তু খাওয়া যাবে না! এতো অন্য জিনিস
আরও দেখুন
বাংলা খবর/ খবর/হুগলি/
Hooghly: ঈশ্বর কণা গবেষণার যন্ত্রাংশ তৈরি করে জীবিত বিশ্বকর্মা উপাধি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল