পুলিশ সূত্রের খবর, যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন ওই নাবালিকার পরিচিত। পুলিশের অনুমান ওই পরিচিত কিশোর এর ডাকে সাড়া দিয়েই নাবালিকা এসেছিল। পরবর্তীতে অভিযুক্ত ওই কিশোরকে জেরা করে আরও তিনজনের হদিশ পায় পুলিশ।
দশমীর দিন থেকে নিখোঁজ ছিল জাঙ্গিপাড়ার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। নিখোঁজ থাকার চার দিন পর শনিবার ত্রয়োদশীর দিন সকালে বাড়ি থেকে ১ কিমি দূরে জাঙ্গিপাড়া থানার শ্রীহট্ট এলাকায় একটি ঝিলে নাবালিকার মৃত দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। পরিবারের লোকজন এসে জামা কাপড় দেখে দেহ সনাক্ত করেন। ঘটনার তদন্তে নামে জাঙ্গিপাড়া থানার পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ করিনা-জেহ কোথায়! ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনিকে নিয়ে রবিবারের ব্রাঞ্চে শর্মিলা, দেখুন ছবিতে
রবিবার গোটা দিন কখনও ড্রোন, কখনও বা ডুবুরি দিয়ে খোঁজাখুঁজি চলে। নাবালিকার মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছিল। রবিবার রাতে পুলিশের কাছে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট এসে পৌঁছয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও রয়েছে। সূত্রের খবর, রিপোর্টে জানা যায় জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ওই নাবালিকার। তবে পরিবারের অভিযোগ নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। পুলিশের তদন্ত এখনও জারি রয়েছে নাবালিকার রহস্য মৃত্যু নিয়ে।
জাঙ্গিপাড়ায় নাবালিকার মৃত্যুতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানা চাপানোতর। রবিবার মৃতের পরিবারের সঙ্গে কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল দেখা করতে আসেন। কিন্তু গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে তাদেরকে ফেরত যেতে হয়। পরবর্তীতে বিজেপির তরফ থেকে প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল দেখা করতে আসেন মৃতের পরিবারের সঙ্গে। রাতে চাইল্ড কমিশন থেকে ও দুই প্রতিনিধি আসেন জঙ্গিপাড়ায়।
সোমবার দুপুরে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়ার জন্য হুগলি গ্রামীন পুলিশের সুপারের একটি সাংবাদিক বৈঠক করার কথা। সেখানে আরও সুস্পষ্ট ভাবে জানানো হবে পুলিশ কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে। ঘটনার পরবর্তীতে কী হতে চলেছে। তবে এখনও পর্যন্ত নাবালিকার রহস্য মৃত্যু কীভাবে হল, কারা কারা জড়িতের সঙ্গে, এসবের তদন্ত চলছে।
রাহী হালদার