আরামবাগ পৌরসভা নির্ভয়পুর হাটিপাড়ার গৌরীশংকর হাটি ২০০৪ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। বর্তমানে পাঞ্জাবের পাঠানকোটে পোস্টিং ছিল তার। সেখানেই দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। রবিবার ডিউটি করে ফিরে রাতে তাঁবুতে ঘুমিয়ে ছিলেন। সেন্ট্রির দায়িত্বে থাকা লোকেশ নামে এক সেনা জওয়ানের গুলিতে গৌরীশংকর ও আর এক সেনা জওয়ান সূর্যকান্তর মৃত্যু হয়। জানা গেছে সারাদিন কাজের শেষে যখন সেনা জওয়ানরা ঘুমিয়ে ছিলেন রাত দুটো নাগাদ হঠাৎ করে লোকেশ তার রাইফেল থেকে গুলি চালাতে শুরু করে। ঘটনাস্থলেই দু'জনের মৃত্যু হয়।
advertisement
মৃত শহীদ সেনা গৌরীশংকর হাটির অন্য এক সহ কর্মী কার্তিক গুপ্তা জানান, ঘটনার দিন রাত্রি বেলা গৌরীশংকর অমৃতসর থেকে জম্মু-কাশ্মীরের হাই ওয়ের উপর অমরনাথ যাত্রার রাস্তায় টহলদারি করে ফিরে ছিলেন তাঁর ক্যাম্পে। ক্যাম্পে আসার পরেই হত্যাকারী সহকর্মী সেনা লোকেশের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়েন গৌরীশংকর ও তাঁর সহকর্মী সূর্যকান্ত। তখনই লোকেশ গুলি চালায় ওই দুই সেনার উপর। ফলে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় দু'জনের।
ওই এলাকার সংসদ আপুরুপা পোদ্দার জানান, সৈনিকের যদি যুদ্ধ ক্ষেত্রে মৃত্যু হয় সেটি গৌরবের বিষয়। কিন্তু এক্ষেত্রে সহকর্মীর গুলিতে মৃত্যু এটি নক্কার জনক ঘটনা। কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটলো তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি । ঘটনার তদন্ত করে দোষী উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেন সাংসদ।
Rahi Haldar