হুগলির সিমলাগড় ভিটাসীন গ্রাম পঞ্চায়েতের গোয়ারা গ্রামে হঠাৎ করে কিছু মানুষ এসে বসবাস শুরু করে। এতেই আপত্তি গ্রামবাসীদের। তাদের অভিযোগ পঞ্চায়েতের কোনও অনুমতি ছাড়াই বাড়ি তৈরি করছে। গ্রামবাসীদের দাবি, এই ভাবে চাষের জমিতে বাড়ি হলে চাষের ক্ষতি হবে। যে সব জমিতে চাষ হয়, সেই জমিতে কী ভাবে বাড়ি তৈরি হচ্ছে সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা। যদিও বসতি গড়ে তোলা এই সব ব্যক্তিরা বলছেন তাদের বাড়ি করার অনুমতি দিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্য দুর্গাপদ গায়েন ও স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতা শেখ মসিহার রহমান।
advertisement
আরও পড়ুন - ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে আসলেই দুশ্চিন্তার ভাঁজ অভিভাবকদের কপালে, কেন এমন...
আরও পড়ুন - বাইসাইকেল চালিয়ে শৃঙ্গ জয় তারকেশ্বরের সবিতার, উমলিং লা-য় উঠে বিশেষ খেতাব
এ বিষয়ে বিরোধীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের আগেই বহিরাগতরা এভাবেই আশ্রয় নিতে চাইছে এলাকায়। অন্যদিকে, পঞ্চায়েতের সদস্য দুর্গাপ্রসাদ গায়েন সম্পূর্ণ অভিযোগ নস্যাৎ করেন। তিনি জানান, চাষ জমিতে তিনি কোনও রকম বাড়ি তৈরি করার অনুমতি দেননি। পুরোটাই রাজনৈতিক চক্রান্ত।
ভিটাসিনা গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান রাজিনা খাতুন জানান, যদি কোনও অবৈধভাবে নির্মাণ কাজ হয়ে থাকে তাহলে সবার প্রথমে সেটি বন্ধ করা দরকার। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভকে প্রাসঙ্গিক বলে মনে করছেন তিনি। তিনি এ ও জানান নির্মাণের জন্য কোনওরকম লিখিত কাগজ পঞ্চায়েতে জমা পড়েনি। এই বিষয় নিয়ে গ্রামবাসীদের সাথে আলোচনায় বসার কথাও জানান তিনি।প্রসঙ্গত, যেভাবে দিনের পর দিন চাষযোগ্য জমিতে নির্মাণ কাজ করে তা চাষের অযোগ্য করা হচ্ছে তার ফলে আগামীদিনে চাষ আবাদির ওপ যথেষ্ট প্রভাব পড়বে। এবিষয়ে ভূমি দপ্তরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
রাহী হালদার