এগরা থেকে বজবজ, রাজ্যে একের পর এক বাজি কারখানায় ঘটে চলেছে বিস্ফোরণ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বেআইনি বাজি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সমস্ত কিছু বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল রাজ্যজুড়ে।
সেই আদেশ বহাল রেখেই হুগলির বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় হুগলি গ্রামীণ পুলিশের আধিকারিকরা। সেই মতো মঙ্গলবার রাত ও বুধবার দিনে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৯০০ কেজির নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করেছে চন্ডীতলা থানার পুলিশ।
advertisement
হুগলির বেগমপুর এলাকার বেশিরভাগ মানুষ বাজি তৈরি কারবারের সঙ্গে যুক্ত। প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরেই বাজি তৈরীর কাজ চলে সারা বছর। তবে বাজি থেকে আগুন লেগে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে একাধিক মানুষ। রাজ্যে শেষ ৭ দিনে বাজি থেকে বিস্ফোরণ হয়ে মারা গেছে ১২ জন। সেই থেকে শিক্ষা নিয়ে রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন কোন রকম ভাবেই নিষিদ্ধ বাজি কারখানা বরদাস্ত করা হবে না। সেই থেকেই শুরু হয় অবৈধ বাজি কারখানার পুলিশি অভিযান।
আরও পড়ুন: হঠাৎ থমকে গেল কনভয়…! একের পর এক ‘বাধা’…! অবশেষে ‘বড়’ সিদ্ধান্ত নিলেন অভিষেক
পুলিশ সূত্রে খবর, অবৈধ বাজি কারখানার পুলিশি অভিযান এখনো জারি থাকবে। যে সমস্ত জায়গায় বাজি তৈরি হতো সেই সমস্ত জায়গা গুলিতে পুলিশ তল্লাশি করতে ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে। শেষ এক সপ্তাহ হতে শুধুমাত্র হুগলির গ্রামীণ এলাকা থেকে প্রায় দুই হাজার কেজি নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। হুগলিতে বাজি থেকে যাতে কোনরকম বিস্ফোরণের ঘটনার না হয় তার জন্য আগে থাকতে সাবধানতা অবলম্বন করছে পুলিশ।
রাহী হালদার