এছাড়া বছরের বিভিন্ন সময় বড়দিন সহ বিশেষ বিশেষ দিনগুলিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আশেপাশের গ্রামের বেশ কিছু মানুষ এই প্রার্থনা সভায় যোগ দেন। ফাদার জানান, ১৯৮৮ সালে তিনি খ্রিস্টধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করেন। তারপর এলাকার আরও বেশ কিছু খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী মানুষ এলাকায় একটি চার্চ গড়ে তোলার ব্যাপারে উদ্যোগী হন যদিও আর্থিক সমস্যা এক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
advertisement
আরও পড়ুন: রাজস্থানের অনুকরণে, গরমে 'এই' ভাবে পথচারীদের জল দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা
এরপর ২০০০ সালে বিঘে খানেক জমি কেনা হয়, গড়ে ওঠে এই চার্চ। তারপর থেকে নিয়মিত এখানে প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এলাকার মানুষও প্রভু যীশুর উপর নিজেদেরকে সমর্পণ করার পথ খুঁজে পেয়েছেন। আর তা থেকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে শান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।
মঞ্জুশ্রী মন্ডল দাস নামে এক শিক্ষিকা জানালেন, তিনি নিয়মিত এই চার্চে আসেন। প্রার্থনা সভায় যোগ দেন। এছাড়াও অন্যান্য যারা আসেন তাঁদের সঙ্গে যীশুখ্রিষ্টের জীবন ও আদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন। তার মধ্যেই মানসিক শান্তি খুঁজে পান।
আরও পড়ুন: ব্যাগ, পুতুল সহ বাকি সামগ্রী! মহিলাদের কাজ সবাইকে অবাক করে দিচ্ছে
চার্চের ফাদার ফিলিপ সুকুমার মন্ডল জানালেন, তাঁদের ইচ্ছা রয়েছে, এই চার্চকে আরও বেশি করে মানব সেবার কাজে লাগাতে। এর জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির, রক্তদান শিবির, শিশুদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা ইত্যাদির আয়োজন করার ইচ্ছা আছে। কিন্তু উপযুক্ত ভবনের অভাবে তা সম্ভব হয়ে উঠছে না।
Suvojit Ghosh