ঘটনা সূত্রপাত ভোট গণনার দিন থেকেই। তীব্র ডামাডোলের মধ্যে ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগেই বার করে দেওয়া হয় বাম ও আইএসএফের সমর্থকদের। আইএসএফ সমর্থকদের অভিযোগ তারা বাম আইএসএফ জোট ২৯ আসনের মধ্যে ২২ আসনে এগিয়েছিল। কিন্তু ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগেই তাদের বার করে দেওয়া হয়। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের ফলাফল সম্পূর্ণ পাল্টে গিয়ে দেখা যায় সেখানে বাম আইএসএফ জোট পেয়েছে মাত্র ৫টি আসন। বাকি ২৪ আসনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। এরপর থেকে পুরো বিষয়টি কোর্টে বিচারাধীন হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ রোজের বাসন ধোয়ার সময় ‘এই’ ভুলগুলো করছেন? শরীরে বড় রোগ বাসা বাঁধতে পারে
এ প্রসঙ্গে ফুরফুরার পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকি বলেন, “ফুরফুরায় জিতেছে আইএসএফ। জোর করে তৃণমূল জিতেছে বলছে। আমরা আদালতে গিয়েছি। সেখানে মামলা বিচারাধীন। কি করে বোর্ড গঠন করবে? আর ফুরফুরার লোকেরা তা করতে দেবে কেন? ফুরফুরায় গুন্ডামি মস্তানি করত প্রধান সামিম আহমেদ। ওই বোমাবাজি করছে।”
ফুরফুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান শামীম আহমেদ বলেন, “গতকাল রাত থেকে বোমাবাজি করেছে। আইএসএফ পঞ্চায়েতে তালা মেরেছে। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হবে। ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে গণনা শান্তিপূর্ণ হয়েছে বোর্ড গঠনও শান্তিপূর্ণ হবে। শান্ত ফুরফুরা শরিফকে অশান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ওরা আদালতের এমন কোনও অর্ডার দেখাতে পারেনি।”
আরও পড়ুনঃ উপকারি বলেই যখন-তখন খাচ্ছেন? অজান্তেই বড় ভুল হচ্ছে, দিনের ‘এই’ সময় কলা খান
জাঙ্গিপাড়ার সিপিআইএম নেতা সুদীপ্ত সরকার জানান, “ভোটের দিন ঝামেলা হওয়ার পর ভোট গণনার দিন ২২ আসনে এগিয়ে থাকলেও সিপিআইএমের প্রার্থীদের গণনা কেন্দ্র থেকে বার করে দেওয়া হয়। এরপর দেখা যায় নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে ফলাফলে সব উলটে গিয়েছে। ২৪ আসন পায় তৃণমূল, বাম ও আইএসএফ জোট পায় ৫ আসন। তারপর গণনা কেন্দ্রের পাশ থেকে ব্যালট পেপার উদ্ধার হয়। এ বিষয়ে দুটি পৃথক মামলা করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া পুরোটাই বিচারাধীন। হাইকোর্টের বিচারাধীন কপি বিডিও, এসপি, ডিএম সকল স্তরে পাঠানো হয়। এরপর অনৈতিকভাবে বোর্ড গঠনের চেষ্টা করে তৃণমূল। যার কারণে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ফুরফুরা শরীফ।”
এ দিনের ঘটনায় আহত হয়েছেন অ্যাডিশনাল এসপি লাল্টু হালদার-সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী ও আইএসএফ কর্মী সমর্থকরা। তীব্র অশান্ত পরিবেশের মধ্যেই ফুরফুরা পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। এসডিও শ্রীরামপুর সম্রাট চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে বোর্ড গঠন সম্পন্ন হয়। ফুরফুরাশরীফ পঞ্চায়েতের প্রধান হয়েছেন রাজিয়া সুলতানা, উপ-প্রধান মৃগাঙ্ক মোহন মাল। এ প্রসঙ্গে নওশাদ সিদ্দিকী জানান, ‘তিনি একজন বিধায়ক, তাঁর কাজ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। কিন্তু ফুরফুরাশরীফে দেখা গেল পুলিশ পীরজাদাদের গায়ে হাত দিচ্ছে। বিধায়কের বাড়ি ভাঙচুর করছে। তাই অনির্দিষ্টকালের জন্য এলাকায় অবস্থান-বিক্ষোভে চলছে।”
রাহী হালদার